নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ফ্ল্যাট বাসায় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। সোমবারের এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ছয়জন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিরণ মিয়া (৪৫) মারা যান। তিনি নরসিংদীর আবু তাহেরের ছেলে। এর আগে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কিরণ মিয়ার মা নুর জাহান। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিরণ মিয়া মারা যান। তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়ে ছিল। বাকি ছয়জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়ার একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় পরিবারটি ভাড়া থাকতেন। সোমবার ভোরে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গেলে জমে থাকা গ্যাসের কারণে ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে একই পরিবারের আটজন দগ্ধ হয়। দগ্ধদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল হোসেনের ৪৫ শতাংশ, হিরণ মিয়ার ২২, কাউসার মিয়ার ২৫, মুক্তা আক্তারের ১৫, ইলমা আক্তারের ১৪ ও আপনের ২০ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে রান্নার চুলা বন্ধ না করে ওই পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়েছিল। ফলে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে ঘরে জমা ছিল।