রিফাত হত্যা
বহুল আলোচিত বরগুনা রিফাত শরীফ হত্যা মামলার শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সকাল ১০টায় এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেষ সাক্ষী বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. হুমায়ূন কবিরের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বরগুনা কারাগারে থাকা এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও এদিন আদালতে হাজির হন। আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবিরকে আসামিপক্ষের ১০ জন আইনজীবী জেরা করেন। এছাড়াও এদিন মামলার সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করেন আদালত। প্রজেক্টরের মাধ্যমে সব ভিডিও ফুটেজও যাচাই করা হবে। ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২৪ কার্যদিবসে এ মামলার ৭৫ সাক্ষীর মধ্যে ৭৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করার পাশাপাশি শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এছাড়া গোলাম সরোয়ার নামে এক সাক্ষী প্রবাসে থাকায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারেনি আদালত। এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের মনোনীত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক কিসলু বলেন, এরই মধ্যে রিফাত হত্যা মামলার ৭৫ সাক্ষীর মধ্যে ৭৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকা- ঘটে। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক। পাশাপাশি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয়জন আসামি জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে। ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেনÑ রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।