আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৯-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

‘চাঁদাবাজির মতো অনৈতিক কর্মকান্ড সহ্য করা হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন ‘মুজিববর্ষ’কে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির মতো কোনো অনৈতিক কর্মকা- সহ্য করা হবে না জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের যৌথ সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সততার আলোকে নিজেকে পরিশুদ্ধভাবে বিকশিত হওয়ার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, মুজিববর্ষ উদযাপন করবেন একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে। মুজিববর্ষ পালন করার নামে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না। নেত্রী স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, মুজিববর্ষের নামে যে তোড়জোড় দেখছি, চাঁদাবাজির দোকান যেন না হয়। বঙ্গবন্ধুকে তাহলে আরও ছোট করা হবে। এজন্য দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। 
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে এসব চাঁদাবাজির দোকান খুলে বঙ্গবন্ধুর মহিমাকে বড় করা যাবে না। কাজেই এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, জেলায় জেলায় আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দলীয় ও সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আপনাদের প্রোগ্রাম সাজাতে হবে। যেখানে সেখানে যত্রতত্র চাঁদাবাজি করে বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিববর্ষের একটা দোকান খোলা হবে, এটা কেউ অ্যালাউ করবেন না। কোনো অবস্থায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলাকে মদত দেওয়া যাবে না। যারা এগুলো করবে তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিতে হবে’ বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এপ্রিল থেকে দলের সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেখানে সম্মেলন হয়ে গেছে সেসব জায়গায় কমিটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। কমিটিতে নিজের দল ভারি করতে ত্যাগীদের উপেক্ষা না করতে এবং সুবিধাবাদীদের দলে না ভেড়াতে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, ত্যাগী ও যোগ্যদের দলে পদ দেবেন। সংগঠনের স্বার্থ দেখবেন। সুবিধাবাদীদের বিষয়ে নজর রাখতে হবে। দলের অভ্যন্তরে নিজেদের মধ্যে বিভেদ বাড়িয়ে দলকে দুর্বল করা যাবে না। সেটি দল ও সংগঠনের জন্য ভালো হবে না। দল বিতর্কিত হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। দলের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে রেখে দলকে শক্তিশালী করা যাবে না। নির্বাচনি ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দল শক্তিশালী হলে সরকার শক্তিশালী হবে।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকসহ খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতারা সভায় উপস্থিতি ছিলেন।