এসএসসি পরীক্ষায় সন্তান পরীক্ষার্থী। তাই শিক্ষকরা ওই কেন্দ্রেরই কক্ষ পরিদর্শক। তারাই কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন বের করে দেন। বাইরে থাকা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তা নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করে সরবরাহ করেন। ঘটনাটি বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি বিজি ইউনিয়ন একাডেমি বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের। ওই কেন্দ্রের ৬ থেকে ৭ জন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের সন্তান পরীক্ষা দেওয়ায় সেখানে নকলের হাট বসছে। একই ঘটনা ঘটছে পার্শ্ববর্তী দুটি কেন্দ্রে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন গাইন বলেন, ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সেখানকার ইউএনও এবং এডিসিকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের টিমও কেন্দ্রটি নজরদারিতে রেখেছে।
জানা গেছে, নলছিটি বিজি ইউনিয়ন একাডেমি বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবছর মোট পরীক্ষার্থী ৯৬৭ জন। আশপাশের ১০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার শুরু থেকেই এ কেন্দ্রে শিক্ষকদের সহায়তায় নকল করার অভিযোগ উঠেছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক জোহরা পরীর ছেলে মো. রাহাত ওই কেন্দ্রেই পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু এরপরও তিনি কেন্দ্রটিতে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার স্বামী গোলাম কিবরিয়া পারভেজ প্রশ্ন-উত্তর তৈরি করে ছেলেকে সরবরাহ করছেন।
একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শুরাইয়া পারভিন শিউলির মেয়ে শশি এসএসসি পরীক্ষার্থী। ৯ ফেব্রুয়ারি গণিত পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষিকা শিউলি ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি ওই দিন শিক্ষিকা শিউলির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে এসিল্যান্ড প্রশ্নপত্রও পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বাচ্চুর ছেলে সিয়াম এসএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি ওই কেন্দ্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকও। যে কারণে ছেলেকে নকল সরবরাহে বেশ তৎপর তিনি।