আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৯-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

টমেটোর চারায় লাভবান কৃষক

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ
| সুসংবাদ প্রতিদিন

হবিগঞ্জে রাজা ও রানী জাতের টমেটোর চারা উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ। চাকরির দায়িত্ব পালন শেষে তিনি বিষমুক্ত সবজি চাষের পাশাপাশি প্রায় ৪৫ শতক জমিতে রানী ও রাজা জাতের টমেটোর চারা উৎপাদন করেছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত কৃষক তার কাছ থেকে এ জাতের টমেটো চারা ক্রয় করে নিয়ে জমিতে রোপণ করছেন। রোপণের মাত্র এক মাসের মধ্যে গাছে গাছে টমেটো আসে। একটি গাছ থেকে প্রায় ১২ কেজি টমেটো উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ।
আজমিরীগঞ্জের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন ফারুকের কাছ থেকে রাজা জাতের টমেটো চারা নিয়ে রোপণ করেন। রোপণের প্রায় মাসখানেকের মধ্যে গাছে গাছে টমেটো আসে। এ কৃষকের মতো নবীগঞ্জের ইমামবাড়ির মাওলানা মশিউর রহমানসহ জেলার অনেক স্থানের কৃষক এসে তার কাছ থেকে উন্নতজাতের টমেটো চারা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। তারাও এ জাতের টমেটো চাষ করে লাভবান। 
ফারুক বলেন, জমি প্রস্তুত করে রোপণের পর সময়মতো পানি ও আগাছা পরিষ্কার করে কিছু পরিমাণে সার দিলে গাছে গাছে টমেটোর দেদার ফলন আশা করা যায়। তিনি বলেন, টমেটো চারা বিক্রি করে বছরে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হয়। তবে অনেক সময় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ ঝুঁকি ও আশার মধ্যে নার্সারি পরিচালনা করতে হয়। 
এছাড়া অবিক্রীত চারাগুলো নিজের জমিতে রোপণ করে টমেটোর ব্যাপক চাষ করছেন। এ মৌসুমে প্রায় এক একর জমিতে রাজা ও রানী জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। আশা করছেন প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে গাছে গাছে টমেটোর ফলন আসবে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ফারুক অফিসে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাড়ি গিয়ে জমিতে সময় কাটান। তিনি শুধু সবজি চাষ করছেন বললে চলবে না। উৎপাদন করছেন সবজির চারাও। হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, ফারুক সফলতার সঙ্গে সবজির চারা উৎপাদন করে নিজে লাভবান। তার কাছ থেকে চারা ক্রয় করে হাজারো কৃষক লাভবান হচ্ছেন।