আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৯-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

গৃহায়নের পাঁচ প্রকৌশলীকে দুদকের নোটিশ

জিকে শামীমের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ

আমিরুল ইসলাম
| শেষ পাতা

বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমের (জিকে শামীম) সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) পাঁচ প্রকৌশলীকে নোটিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রকৌশলীদের বর্তমান পদবি, কর্মস্থল, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর পাসপোর্ট ও মোবাইল নম্বর চেয়েছে দুদক। সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত তথ্য তদন্ত দলের প্রধান সংস্থাটির পরিচালক-২ সৈয়দ ইকবাল হোসেনের দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। যেসব প্রকৌশলীর তথ্য চাওয়া হয়েছে, তারা হলেনÑ নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিফ আহমেদ, কাওছার মোর্শেদ, আশরাফুজ্জামান পলাশ, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান।  
এ বিষয়ে প্রকৌশলী কাওছার মোর্শেদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আমার সঙ্গে জিকে শামীমের কোনো দিন দেখাও হয়নি। আর নোটিশ করেছে, তা-ও শুনিনি। আমার মনে হচ্ছে, কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। দুদক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ নোটিশ করেছে। অপর প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা বলেন, আমার লেভেলে কোনো কাজই ছিল না জিকে শামীমের। সুতরাং এ নোটিশ কেন করা হলো বুঝি না। ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের আটক করে র?্যাব। শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল মদ, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। বর্তমানে একাধিক মামলার আসামি হিসেবে তিনি কারান্তরীণ।
অপরদিকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের হিসাব সহকারী মো. আশরাফুল আলমকে ৮ ডিসেম্বর দিনাজপুর ডিভিশনের আওতায় বগুড়ায় বদলি করা হয়। দিনাজপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোর্শেদ মাহমুদ চৌধুরী ২৯ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষকে জানান, ওই কর্মচারী বদলিকৃত স্থানে যোগদান করেননি। এ বিষয়ে মো. আশরাফুল আলমের বক্তব্য হচ্ছে যারা সিবিএ করেন এবং দায়িত্বশীল পদে কাজ করছেন, তাদের ঢাকার বাইরে বদলির কোনো বিধান নেই। এ সংক্রান্ত আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। অপরদিকে সংস্থাটির অফিস সহায়ক রাকিবুজ্জামানকে ৮ ডিসেম্বর একই আদেশে বগুড়ায় বদলি করা হলেও তিনি বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করেননি। সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা জানান, একশ্রেণির কর্মচারী আছেন, যারা নিজেদের সর্বেসর্বা ভাবেন। তাদের চলনবলন এমন যে, তারাই সব। সাধারণ কর্মচারীদের ওপর তারা নিয়মিত খবরদারি করেন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন অনেকে। আত্মসম্মানের কারণে অনেক কর্মকর্তা তা প্রকাশ করেন না। ইতঃপূর্বে এক কর্মচারীকে কুমিল্লায় বদলি করা হলে তিনি অফিস না করলেও হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর রয়েছে। বিষয়টি সংস্থার চেয়ারম্যানের নজরে এলে তিনি ওই কর্মচারীকে অনুপস্থিত দেখানো এবং বেতন কেটে রাখার নির্দেশ দেন। সংস্থাটিতে বিভিন্ন কাজে আসা সাধারণ প্লট কিংবা ফ্ল্যাট মালিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।