কিউই অত্যন্ত সুস্বাদু ফল। স্বাদের মতোই এর গুণাগুণও অঢেল। হার্টকে সুস্থ রাখে কিউই ফল। ভিটামিন ‘সি’ এবং পটাশিয়ামসমৃদ্ধ, যা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন এক থেকে দুটি করে কিউই ফল খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়, যা হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। এটি খেলে রক্তে ফ্যাটের পরিমাণ কমানো যায়, ফলে ব্লকেজ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এছাড়া কিউইতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। কানাডিয়ান জার্নাল অব ফিজিওলজি অ্যান্ড ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত হওয়া এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কিউই ফল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করে এবং ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো অসুস্থতার সম্ভাবনাকে হ্রাস করে। কিউইতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে। চোখ ভালো রাখে ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে কিউই ফল ফাইটোকেমিক্যালের একটি ভালো উৎস, যা ম্যাকুলার অবক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ এবং ফাইটোকেমিক্যাল চোখের ছানি এবং বয়সজনিত কারণে চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হাড় ও দাঁত ভালো রাখে কিউইতে থাকা ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ‘বি-৬’, ‘বি-১২’, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা এবং ম্যাগনেসিয়াম। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিউই ফল খাওয়া উচিত। কারণ এটি ফুসফুসের কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ হাঁপানি রোগের বিরুদ্ধে লড়াাই করতে সাহায্য করে। এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিউই ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অনিদ্রার মতো ঘুমের ব্যাধিগুলোর জন্য খুবই উপকারী। তাই ঘুমের সমস্যা দূর করতে রোজ খান এ ফল। স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে কিউইতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে রোদ, দূষণ এবং ধোঁয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কিউই ফল বার্ধক্য বিলম্ব করে এবং ত্বকের সামগ্রিক গঠনকে উন্নত করে। সূত্র : ওয়েবসাইট