কৌশিক প্রামাণিক
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও (সিআইডি) রাজশাহীর চাঞ্চল্যকর কৌশিক প্রামাণিক মিঠু হত্যা মামলার আসামিদের নাগাল পাচ্ছে না। চাঞ্চল্যকর মামলা বলে সিআইডিই পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে ১৮ দিনেও সিআইডি মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিহত কৌশিক প্রামাণিক মিঠু বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুর বড় ভাই। ১৬ জানুয়ারি সকালে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ধরমপুর আমজাদের মোড় এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন তিনি।
এ ঘটনায় দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে পুলিশ শুধু মো. রায়হান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে হত্যাকা-ের পরই। তবে প্রধান আসামিসহ অন্যরা এখনও পলাতক।
প্রধান আসামির নাম সজিবুল হক সজিব। নগরীর ধরমপুর এলাকায় তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত আমিন। এজাহারভুক্ত অন্য তিন আসামির বাড়িও মতিহার থানা এলাকায়। তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মতিহার থানা পুলিশ মামলার তদন্তকালে তাদের নাগাল পাচ্ছিল না। এ অবস্থায় ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মামলাটি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজকে চিঠি দেন। সিআইডি প্রধান মামলাটি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ৩১ জানুয়ারি থানা পুলিশ সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমানের কাছে মামলার নথিপত্র হস্তান্তর করে।
তবে এর ১৮ দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ঘাতকরা আইনের আওতায় না আসায় কৌশিকের স্বজনদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। মামলার বাদী দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু বলেন, মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা দুই দিন তার সঙ্গে কথা বলেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ ধরা পড়েনি। গ্রেপ্তার করতে না পারার কারণে আসামিরা দেশত্যাগ করতে পারে বলে আশঙ্কা করেন দেবু। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া দুঃখজনক।
মামলার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, তদন্ত চলছে। আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে এর বেশি তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।