দিনাজপুরে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন এবং কুষ্টিয়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
দিনাজপুর : পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আনোয়ারুল হক চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেনÑ সাহেব উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন, জাফর উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল ও মামুনুর রশিদ মিলন। তিনজনই বিরামপুর উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা। যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি হলেন একই এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা বাবু। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন মেহেরুন নাহার। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ জুন বিরামপুর উপজেলার মীর্জাপুর খয়েরবাড়ী গ্রামের এক পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন ওয়াকিল উদ্দিন।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিউর রহমান আসামীর উপস্থিতিতে এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ মে রাত ১১টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার কারিগরপাড়ার মনোরঞ্জন দাসের ছেলে বিপ্লব দাস প্রতিবেশী কুমারের বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। ৭ জুন আবার তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী টের পেয়ে বিপ্লকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।