আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ গ্রামীণফোনকে

আলোকিত ডেস্ক
| নগর মহানগর

বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা সোমবারের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। গ্রামীণফোনের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, গ্রামীণফোনকে ২ হাজার কোটি টাকা দিতেই হবে। এ বিষয়ে সোমবার পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন এএম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।
আপিল বিভাগ ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেজন্য তাদের দেওয়া হয়েছিল তিন মাস সময়, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর আগেই গেল মাসে সর্বোচ্চ আদালতের ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল গ্রামীণফোন।
এদিকে আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার আগে বিটিআরসিকে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে আলোচনা চালু রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল গ্রামীণফোন। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাতে রাজি হয়নি বলে বুধবার জানান গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত।
সে বিষয়টি তুলে ধরে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানিতে ছয় মাসের কিস্তিতে ওই দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত সোমবারের মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে বিষয়টি সেদিনই পরবর্তী আদেশের জন্য রাখে।
শুনানিতে গ্রামীণফোনের আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন বলেন, সর্বোচ্চ আদালত ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে এ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই বিটিআরসির দাবির মূল ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার প্রায় ৮৭ শতাংশ পরিশোধ করা হয়ে যায়।
‘আমরা মূল দাবির ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৫৭৫ কোটি টাকা ১২ মাসে পারিশোধ করতে চাই। তারপরও বিটিআরসিকে ৫০০ কোটি টাকা অফার করেছিলাম, নেয়নি। তারা বলছে এ টাকা নিলে আদালত অবমাননা হবে।’ বিচারপতি ইমান আলী তখন বলেন, ‘কম টাকা নিয়ে গেলেন কেন আপনি?’
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গ্রামীণফোনের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি আপিল বিভাগের আদেশ উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এসেও যদি বলতেন, তাহলেও আমরা বিবেচনা করতাম।’
এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে দেন। তাহলে সব টাকা ছয় মাসের মধ্যে আদায় হয়ে যাবে।’
তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন গ্রামীণফোনের আইনজীবীকে বলেন, ‘আপনি যদি বেশি টাকা দেন, তাহলে পরবর্তী সময় সেটা তো অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারবেন।’
এএম আমিন উদ্দিন তখন বলেন, ‘বিষয়টা তো বিচারাধীন। আমরা তো মনেই করছি না বিটিআরসি এ টাকাটা পাবে।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালত যদি মনে করেন টাকা পরিশোধ করার জন্য আরও দুয়েকদিন সময় দেবে, সেটা দিতে পারেন। বিটিআরসির আইনজীবী রেজা-ই-রাকিবও তখন সে কথায় সায় দেন। 
কিন্তু গ্রামীণফোনের আইনজীবী ২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে চলতি মাসে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে বাকি টাকা সমান কিস্তিতে পাঁচ মাসে দেওয়ার আরজি জানান। সূত্র : বিডি নিউজ