ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার হাটশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শ্রেণিকক্ষের অভাবে অনেকটা বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ এ ভবনে পাঠদান চালানো হচ্ছে। ফলে ৩০০ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অভিভাবকরা। সরেজমিন জানা গেছে, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির পাকা ভবন নির্মিত হয় ১৯৯৫ সালে। ভবনটির কাজ নিম্নমানের হওয়ায় ছাদ, বিম ও দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে এসেছে ছাদ ও বিমের মরীচিকা ধরা লোহার রড। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। ফলে ভবন ধসে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করেন স্থানীয়রা। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে পিইডিপি-৩ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে। এতে একটি অফিস কক্ষ ও একটি শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা হয়। এ কক্ষে শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান হয় না। নিরুপায় হয়ে জরাজীর্ণ ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ জমি থাকলেও রেকর্ড হয়েছে ১৯ শতাংশ, দলিলে আছে ২৩ শতাংশ। ফলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধার কারণে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা যায়নি। বিদ্যালয়ের সীমানায় আটের অধিক বিশাল আকৃতির রেইনট্রি ও কাঁঠাল গাছ কেটে নিতে চাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রধান শিক্ষক শাকের আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আমরা পাঠদান করছি। শ্রেণিকক্ষ সংকটে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পাঠদানে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীদের যথাযথ ও মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করতে একটি নতুন ভবন জরুরি প্রয়োজন। শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেও সুফল পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কবিতা নন্দি বলেন, জরাজীর্ণতা এবং ভবন না থাকায় ছাত্রছাত্রী কমে যাচ্ছে। ভবন হলেই স্কুলের মান অনেক ভালো হতো এবং অনেক উন্নত দিকে নিতে পারতাম। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, উপজেলায় যেসব জরাজীর্ণ ভবন আছে সেগুলোর তালিকা করে নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।