আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর পর কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার রাতে দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, সাধারণ ওয়ার্ডে মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে ২১ জনই নতুন। অন্যদিকে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মনোনীত ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনই নতুন। বাদ পড়েছেন হেভিওয়েট ও আলোচিত কমিশনার আলকরণ ওয়ার্ডের তারেক সোলাইমান সেলিম ও ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের হাসান মুরাদ বিপ্লবের মতো কমিশনাররা। হাসান মুরাদ বিপ্লবের ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ছিটকে পড়েছেন ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কমিশনার এইচএম সোহেল, ২৮নং দক্ষিণ পাঠাটুলী ওয়ার্ডের কমিশনার আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদের, ৯নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের তিনবারের কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন হিরণ ও লালখান বাজার ওয়ার্ডের কমিশনার এফ কবির আহমেদ মানিক।
যদিও সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কমিশনার ছাবের সওদাগর বাদ পড়েছেন হত্যা মামলা থাকার কারণে। এবার যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে তাদের দলীয় হাইকমান্ডের মনোনয়ন না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল। মোহাম্মদ হোসেন হিরণের ওয়ার্ডে জায়গা করে নিয়েছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী এবং লালখান বাজার ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন একইভাবে নওফেল অনুসারী হিসেবে পরিচিত স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল। এ ওয়ার্ডে অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বাদপড়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- তিনবারের কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, বর্তমান কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, জেসমিন পারভীন জেসি। এসব ওয়ার্ডে জায়গা করে নিয়েছেন যথাক্রমে রুমকি সেন, জোহরা বেগম ও তছলিমা বেগম নুরজাহান।