বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের পঞ্চম শিরোপার হাতছানি দক্ষিণাঞ্চলের; চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে শনিবার শুরু হওয়া পাঁচ দিনের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পূর্বাঞ্চল জিতলে সেটি হবে তাদের প্রথম ট্রফি। তবে শক্তি-সামর্থ্য এবং চলতি আসরের নৈপুণ্যে দক্ষিণের ক্রিকেটাররাই যে এগিয়ে প্রথম দিনই বুঝিয়ে দিয়েছেন, ৬ উইকেটে ৩০৫ রান তুলে; প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ আবার ব্যাট করতে নামবেন শামসুর রহমান (৩৭*) ও ফরহাদ রেজা (৮*)।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহর, বলেছিলেন নিজেকে প্রমাণ করে আবার ফিরতে চান টেস্ট দলে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করার প্রথম সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি, দক্ষিণের হয়ে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল খেলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। এরপরও দল ফাইনালে বড় স্কোরের পথে রয়েছে, এটা তার আত্মতৃপ্তি হতে পারে! দুই ওপেনার ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও এনামুল হকের ব্যাটে দিনের শুরুটা দারুণ হয়েছিল দক্ষিণের, প্রথম সেশনে তাদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে পড়েনি কোনো উইকেট। উদ্বোধনী জুটিতে যখন আরও বড় কিছুর প্রত্যাশায় বুঁদ ছিল দক্ষিণ, তখনই ছন্দপতন! রানআউট এনামুল (৭৬)। জুটি ভাঙার পর আল আমিন জুনিয়রকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছিলেন রাব্বি, তবে ৮৬ রান করে আরেকটা সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে, সাকলাইন সজীবকে উইকেট ছেড়ে খেলতে আসেন, বল ব্যাটের নিচের অংশে লেগে মিড উইকেটে ইমরুল কায়েসের হাতে জমা পড়ে। আল-আমিনও (৩৯) বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। পরের ওভারেই মাহমুদউল্লাহকে হারালে কিছুটা বিপাকে পড়ে দক্ষিণ, আবু হায়দার রনির বলে ইনসাইড দ্য লাইন খেলতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ৬ নম্বরে নেমে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানেরও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা হয়নি। মাত্র ১৮ রান করে রুয়েল মিয়ার বল শূন্যে পাঠিয়ে তিনিও ইমরুলের ক্যাচ। ষষ্ঠ উইকেটে শামসুর রহমান-মেহেদি হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। শেষ বেলায় মেহেদি কিছুটা তেড়েফুঁড়ে খেলার চেষ্টা করে খেলে ৩৫ বলে ৩৬ রান করেন। তবে খাপছাড়া শট খেলে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন তিনিও।