১৫ গুণী ব্যক্তিকে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দিল চসিক

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১১ জনকে একুশে সম্মাননা ও চারজনকে একুশে সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। শুক্রবার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের সিজেকেএস জিমনেশিয়ামে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা-২০২০ চট্টগ্রাম মঞ্চে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে এ সম্মাননা পদক তুলে দেন। অমর একুশে স্মারক সম্মাননা পাওয়া গুণিজনরা হলেনÑ ভাষা আন্দোলনে আবু তালেব চৌধুরী (মরণোত্তর), শিক্ষায় অধ্যক্ষ এএফএম মোজাফফর আহমদ (মরণোত্তর), চিকিৎসাসেবায় প্রফেসর সৈয়দা নুরজাহান ভূঁইয়া (মরণোত্তর), স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ হারুনুর রশীদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হারিছ, সাংবাদিকতায় আখতার-উন-নবী (মরণোত্তর), সংগঠক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, সংগঠক বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ক্রীড়ায় সিরাজ উদ্দিন মো. আলমগীর, সংগীতে ওস্তাদ স্বপন কুমার দাশ, সমাজসেবায় সন্ধানী চমেক ইউনিটকে একুশে সম্মাননা স্মারক এবং কথাসাহিত্যে (অনুবাদ) ড. মাহমুদ উল আলম, প্রবন্ধ গবেষণায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন, কবিতায় ওমর কায়সার ও শিশুসাহিত্যে আকতার হোসাইন। মরণোত্তর সম্মাননা স্মারকপ্রাপ্তদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা স্মারক গ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, আমি এ শহরের আদিবাসী। আমার বাবা, দাদা এ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। আমার জন্মও এ শহরে। সম্ভবত ১৮৮০ সালে আমার পূর্বপুরুষরা এ শহরে এসেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমি এ শহরের অনেক ভালো-মন্দের সঙ্গে পরিচিত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুলজীবনে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত হই। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এ অবস্থানে আসা। আমি এদেশের মাটি ও মানুষকে অন্তরে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমৃত্যু এটি থাকবে। এ নগরবাসীর সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকব। এ নগরবাসীর কাছে আমি অনেক বেশি ঋণী। বেঁচে থাকলে, এ ঋণ শোধ করার চেষ্টায় থাকব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চসিক প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, অমর একুশে বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক ও  চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ।