জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বৃহস্পতিবার ‘ড্রোন প্রযুক্তি : মানব কল্যাণে ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনার ও ড্রোন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আগারগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ১৬০ শিক্ষার্থীসহ অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশেই ড্রোনের দক্ষ উদ্ভাবক আছে। ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত, কৃষি গবেষণায় উৎকর্ষতা, মুমুর্ষূ রোগীকে গভীর রাতে ওষুধ সরবরাহ, পার্বত্য এলাকায় অনুসন্ধান তৎপরতা এবং পরিবেশ দূষণ চিহ্নিত করে সমাজের চিত্র পাল্টে ফেলা সম্ভব। তিনি বলেন, মানুষের বিচরণ যেখানে অগম্য, সেখানে ড্রোন দিয়ে অসাধ্য সাধন সম্ভব। শুধু যুদ্ধের জন্য নয়, ড্রোন প্রযুক্তিকে মানব কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে লালমনিরহাটের সরকারি আলীমুদ্দিন কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী সায়েদুল মোস্তায়িন তরঙ্গের উদ্ভাবিত ড্রোনটি প্রদর্শনীর জন্য উড্ডয়ন করানো হয়। পরপর তিনবার জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হওয়া এ শিক্ষার্থী আরও কয়েকটি ড্রোন তৈরি করেছে। জাদুঘর প্রাঙ্গণে ড্রোনটি প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতায় উড়ে। এটির সফল উড্ডয়ন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কৃত করা হয়।