এক সপ্তাহ পর অবশেষে রহস্যের জট খুলেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত এলাকা থেকে ব্যবসায়ী, তার স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া দুই মেয়ের নিখোঁজ রহস্যের। সাত দিন নিখোঁজের পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানী মিরপুরে খালার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা ব্যবসায়ী ও তার দুই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূ মুক্তা ঘর ছাড়ার অভিমানে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন বাবা ও দুই মেয়ে। শুক্রবার ব্যবসায়ী তোবারককে পুলিশ হেফাজতে ও দুই মেয়েকে নানির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিং অনুসারে গৃহবধূর সর্বশেষ অবস্থান চট্টগ্রাম পাওয়ার পর তার সন্ধান মিলেছে। মূলত স্বামীর সঙ্গে অভিমান করেই ঘর ছাড়েন তিনি। যদিও গৃহবধূর আত্মগোপনের বিষয়টি পরকীয়া বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মহল্লায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন রেডিমেট গার্মেন্ট কাপড়ের ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন। তিনি শহরের বঙ্গবন্ধু রোডস্থ লুৎফা টাওয়ার সংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে অস্থায়ী দোকানে গার্মেন্টের তৈরি পোশাকের বেচাকেনা করতেন। ওই ফ্ল্যাটে তোবারক হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রী মুক্তা এবং দুই মেয়ে ফারিয়া ও ফাহমিদা থাকতেন। বড় মেয়ে ফারিয়া চাষাঢ়া বন্ধু স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও ফাহমিদা একই স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তোবারক হোসেন মিরপুর ব্লক-বি গাবতলী প্রথম কলোনি জব্বার হাউজিং বাড়িনং ১৭ সি/ডি এলাকার রেজাউল হকের পুত্র। তোবারকের বাবা মা দুইজনই মারা গেছেন। তার এক খালা বর্তমানে মিরপুর সেকশন-৬ এর কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে সুমন সোহেলদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সদর মডেল থানার এসআই সাব্বির জানান, তোবারক জানিয়েছেন, মুক্তার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল এরপর মুক্তা তাকে বলেছেন, তিনি মার বাসায় চলে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তার মায়ের বাসায় যাননি। স্ত্রী মুক্তা ঘর ছাড়ায় অভিমানে ব্যবসায়ী তোবারকও তার দুই মেয়েকে নিয়ে খালার বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার বিকালে গৃহবধূ মুক্তা জানান, তিনি স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে চট্টগ্রামে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি ফিরে আসেন।