ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উরসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হলেও তাদের ধরছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। মামলা প্রত্যাহারে দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। বসতভিটা গুঁড়িয়ে দিয়ে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওই পরিবারের। এতে আতঙ্কে ভুগছেন তারা। তবে পুলিশ বলছে, আসামি ধরতে তৎপর রয়েছে তারা।
১৭ ফেব্রুয়ারি নবীনগরের নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলামের শান্তিপুর গ্রামে মহর্ষি বাবুল শাহর উরস মাহফিলে হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে দ্রুত বিচার আইনে ৫১ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে নবীনগর থানা সেটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে। কিন্তু আসামি ধরায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বাদী পক্ষের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রতি বছর বাবুল শাহর নামে তার নিজস্ব জায়গাতে উরসের আয়োজন করা হয়। কিন্তু উরসে ওয়াজ মাহফিল করার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় ৭০ থেকে ৮০ সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে সেখানে হামলা চালায়। এ সময় পেট্রল ঢেলে তিনটি টিনশেড পাকা ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর ও লুটপাটে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মো. বাবুল শাহর ছেলে জহিরুল ইসলাম ভূইয়া ও আবদুর রাজ্জাক জানান, এখন আতঙ্কে রয়েছেন। আসামিরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। মামলা উঠিয়ে না নিলে তাদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে গ্রামছাড়া করা হবে। এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিত রায় বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামি ধরার চেষ্টা করছেন তারা।