কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বিগত পাঁচ বছরে ইঁদুর ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট করেছে। ফসল রক্ষায় ইঁদুর নিধনে সরকার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান। জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, ইঁদুরের আক্রমণে ২০১৮ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে ৯০ হাজার ৩৮৫ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে ৮৮ হাজার ৮৪৪ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে ৯৪ হাজার ৩৮৮ মেট্রিক টন এবং ২০১৪ সালে ৯৬ হাজার ৬৯৬ মেট্রিক টন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
একই প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতি বছর ইঁদুরের আক্রমণে আমন ধানের ৫ থেকে ৭ শতাংশ, গমের ৪ থেকে ১২, আলু ৫ থেকে ৭ ও আনারস ৬ থেকে ৯ শতাংশ নষ্ট হয়। ইঁদুরের কারণে গড়ে মাঠে ফসলের ৫ থেকে ৭ শতাংশ এবং গুদামজাত শস্য ৩ থেকে ৫ শতাংশ ক্ষতি হয়ে থাকে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ইঁদুরের আক্রমণে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন ফসলের ক্ষতি হয়।
সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক জানান, রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ ও নিম্নমানের কীটনাশক বিক্রি বন্ধের লক্ষ্যে সরকার বালাইনাশক আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। নতুন বালাইনাশক বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। মাঠ পর্যায়ে প্রত্যেক উপজেলায় বালাইনাশক ডিলারের দোকান, গুদাম পরিদর্শন করতে বালাইনাশক পরিদর্শক রয়েছেন। নিম্নমানের বালাইনাশক পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সদা তৎপর রয়েছে, কোথাও কোনো ভেজাল, অননুমোদিত নিম্নমানের বালাইনাশক পাওয়া গেলে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।