ঢাকা-১০ আসন উপনির্বাচন উপলক্ষে আজ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ছয় প্রার্থীর সঙ্গে বসে ‘লেমিনেটেড পোস্টার ও শব্দ দূষণ’ মুক্ত নির্বাচনি প্রচারে প্রার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটের প্রচারে লেমিনেটেড পোস্টার ও মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের পর কমিশন পোস্টারের ‘বিকল্প’ কোনো ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ছয় প্রার্থীকে আজ বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জিএম সাহতাব উদ্দিন। বেলা ১১টায় প্রার্থীদের সঙ্গে বসবেন প্রধান
নির্বাচন কমিশনারসহ পুরো কমিশন।
ইসি সূত্র জানায়, ইসির প্রস্তাবের পাশাপাশি প্রার্থীদের প্রস্তাবনা থাকলেও তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে দূষণ রোধে পাঁচটি প্রস্তাব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বুধবার ৬ প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে।
ইসির পাঁচ প্রস্তাব হলোÑ অনুমোদিত মাত্রায় মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে; অনুমোদিত ক্যাম্পে পোস্টার, ব্যানার, ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করা যাবে। পোস্টার ঝুলাতে হবে ইসি নির্ধারিত ২১ জায়গায়; একেকটি জায়গায় পালা করে মাইকিং চালাবে; শোভাযাত্রা-পদযাত্রা সীমিত করতে হবে; প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিন ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে; জনসভার জন্য এক বা একাধিক জায়গা নির্দিষ্ট কর দেওয়া হবে; পর্যায়ক্রমে অনুমোদন নিয়ে সভা করতে হবে; তোরণ, ফুটপাতে ক্যাম্প, রাস্তায় পথসভা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সবার সম্মতি পেলে ঢাকার এ উপনির্বাচনে দূষণমুক্ত প্রচার সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ইসির উপসচিব রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ভোটের প্রচারণার বিধিনিষেধের বিষয়ে আচরণবিধি রয়েছে। এর মধ্যে থেকে প্রার্থীরা অনেক কিছুই করতে পারেন। কিন্তু লেমিনেটেড পোস্টার ও শব্দ দূষণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এখন দুর্ভোগ কমাতে প্রার্থীদের সঙ্গে এক ধরনের ‘জেন্টেলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট’ করার চেষ্টা করছে কমিশন।