নতুন করোনা ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্ক রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেছেন অযথা যেন গুজব না ছড়ায় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিদেশি নাগরিক বা বিদেশফেরত অনেকে নানারকম হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। অতি উৎসাহী লোকের বাড়াবাড়ি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে বাড়িওলারা তাদের বাসায় ঢুকতে দিচ্ছেন না। একজন চীনা নাগরিক তার ভাড়া করা বাসায় উঠতে গেলে তাকে উঠতে দেওয়া হয়নি। তিনি পরে একটি হোটেলে রাত কাটিয়েছেন। কারও এ ধরনের কাজ পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক মীরজাদী ফ্লোরা বলেন, কেউ সত্যিই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এবং হেনস্তার কারণে তাকে বাইরে থাকতে হলে রোগটি বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আইইডিসিআর থেকে বলা হয়েছে, যারা চীন থেকে এসেছেন, তারা যেন বাসায় থাকেন। তাকে ঢুকতে না দিয়ে সারা দেশে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দিলাম! কারও
মধ্যে যদি আসলেই এ রোগের লক্ষণ থাকে, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে তিনি কিন্তু তা গোপন করবেন।
আইইডিসিআর পরিচালক জানান, দেশে এ পর্যন্ত ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে যে পাঁচ বাংলাদেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আছেন, তাদের অবস্থা অপরিবর্তিত। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন, তবে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ এখনও তার বিষয়ে আশা ছাড়েনি। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এ রোগীর জন্য যা যা করনীয় তারা করছেন। আমরা আশাবাদী, সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।
সিঙ্গাপুর ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।