ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে অনেক আবেগ প্রকাশ করি। ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমাদের গর্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটাই নানাভাবে। সভা-সমিতি, সেমিনারে, টকশো ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাতৃভাষা নিয়ে অনেকেই অনেক আবেগপ্রবণ কথা বলেন। কিন্তু ১৯৫২ সাল থেকে আজ অবধি বাংলা ভাষার কতটা উন্নতি আমরা করতে পেরেছি নাকি দিনে দিনে বাংলাচর্চা থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমরা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তার সুস্পষ্ট জরিপ হয়তো তাদের ব্যথিত করবেÑ যারা সত্যিকারভাবে মায়ের ভাষাকে সম্মান করে, ভালোবাসে। এমনকি গর্ববোধ হয় ‘আমার সন্তান বাংলা বোঝে না’ বা ‘আমার সন্তান বাংলা বলতে পারে না’। একটি জাতির অধিকাংশ মানুষ যে ভাষায় কথা বলে সে ভাষা তাদের রাষ্ট্রভাষা হবে এটা একটি রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের কথা। রাষ্ট্রভাষা করলেই একটি ভাষাকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং সে ভাষাটির ক্রমেই উন্নতি হয় এমন কথা বলা চলে না। কাগজে-কলমে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে কোনো ভাষাকে স্বীকৃতি দিলেও অফিস-আদালতে, শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বত্র ওই ভাষাটির ব্যবহার নিশ্চিত না করতে পারলে কেবল সাংবিধানিকভাবে কোনো ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করার সার্থকতা থাকতে পারে না। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলাÑ এর অর্থ এমন তাৎপর্য বহন করে না যে, আমরা সব ক্ষেত্রে মাতৃভাষা ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যে, গর্বিতভাবে কাজ করতে পারি। ’৫২ থেকে ’৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের কথা বাদই দিলাম, কেননা তখন এ জাতির ওপর অবাঙালিদের অপশাসন বিরাজমান ছিল। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের চেতনার ধারাবাহিকতায় রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করা জাতি অর্থাৎ বাঙালি জাতীয়তাবোধের দ্বারা সৃষ্ট জাতিরাষ্ট্রে আমরা সেই ’৭১ থেকে আজ অবধি বাংলাকে তথা মাতৃভাষাকে কতটা সমৃদ্ধ করতে পেরেছি?
আদালতে বাংলা ব্যবহারের সুনিশ্চিত পরিবেশ আজও সৃষ্টি হয়নি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহার এখনও অসম্ভব ব্যাপার বলেই রয়ে গেছে। বরং বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ইংরেজি মাধ্যম। স্কুলপর্যায়ে ইংরেজি মাধ্যম, ইংরেজি ভার্সন ক্রমেই প্রধান ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় পরিণত হতে চলছে। বাংলা মাধ্যমের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো এখন বিভিন্ন কারণে মানহীন অথবা চাহিদাহীন হয়ে উঠছে। অভিভাবকদের অনেকেই আজ বাংলা মাধ্যমে তাদের সন্তানদের পড়ানোকে অমর্যাদাকর বিষয় বলে মনে করতে শুরু করেছে। কোনো ইংরেজি স্কুলে তাদের বাচ্চারা পড়ছে, এটা বলতে যেন তাদের গর্ববোধ হয়। এমনকি ‘আমার সন্তান বাংলা বোঝে না’ বা ‘আমার সন্তান বাংলা বলতে পারে না’Ñ এ ধরনের কথা বলার মাধ্যমে অনেকেই আজ জাতে উঠতে চেষ্টা করে। তাহলে কি বাংলা ক্রমেই নিচু শ্রেণির বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাষায় পরিণত হতে চলেছে এই বাংলাদেশে? যে দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বিজাতীয় শাসকদের (পাকিস্তানিদের) বাধ্য করেছে?
অনেক উচ্চশিক্ষিত বাঙালি আছেন যারা বাংলায় কোনো কিছুু লেখার অভ্যাস নেই বলে কোথাও বাংলা লিখতে বাধ্য হলে তার মধ্যে ব্যাপক ভুল লিখে থাকেন। মজার ব্যাপার হলো এই ভুল ধরিয়ে দিলে তারা লজ্জিত না হয়ে বরং বাংলাভাষা চর্চা ভুলে গেছেন বলে অনেকটা গর্বের সঙ্গে দাবি করেন। বাংলা মাধ্যমে গবেষণা করতে কোনো বাঙালি গবেষক এ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে গেলেও তাকে অনেক ক্ষেত্রেই অনুৎসাহিত করা হয়। এই যদি বাস্তবতা হয় তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াচ্ছে? আমাদের অগ্রসরমান শ্রেণির সন্তানরা বাংলা চর্চা থেকে বঞ্চিত, উচ্চশিক্ষিত শ্রেণির অধিকাংশই বাংলার প্রতি অনীহা দেখাচ্ছেন; তাহলে বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ কী?
বাংলা চর্চাকে এগিয়ে নেওয়ার কাজে ‘বাংলা একাডেমি’ রয়েছে। বাংলা একাডেমি বাংলাচর্চার ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাদের অবদান কি পর্যাপ্ত? আজও বিশ্বের বহু চিরায়ত গ্রন্থ বাংলায় অনূদিত হয়নি। অনেক প্রয়োজনীয় এবং বহুল পঠিত গ্রন্থ তারা একবার ছেপে দীর্ঘদিন অমুদ্রিত রেখে দেয়। তাদের অগ্রগতি রয়েছে মাঝেমধ্যে বানান রীতি পরিবর্তন করায়, এর মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান বাংলাকে সচল, সবল ও সুন্দর করে তুলতে বদ্ধপরিকর বলে মনে হয়। যদিও সর্বসাধারণের কাছে বিষয়টি বড়ই বিড়ম্বনাময়। বানান বদলের স্রোতে এ প্রতিষ্ঠানটির নামের বানানও বিবর্তিত হয়েছে। আগের ‘একাডেমী’ এখন হয়েছে ‘একাডেমি’। এতে কী এসে যায় বলুন? খোদ ‘একাডেমি’ শব্দটিই যেখানে বিজাতীয়। গ্রিক শব্দ ‘একাদেমিয়া’ থেকে ‘একাডেমি’ শব্দটি নেওয়া হয়েছে। গ্রিক দার্শনিক প্লেটো এথেন্সে ‘একাদেমাস’ নামক একজন জাতীয় বীরের নামে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন তার নাম দিয়েছিলেন ‘একাদেমিয়া’। আজকের ‘বাংলা একাডেমি’ সেই গ্রিক শব্দ ও ঐতিহ্য অনুসরণ করেই নিজের নামকরণের সার্থকতা খুঁজে ফিরছে! এটা কি প্রগতি, নাকি পেছনে যাওয়া? বাঙালি মনীষী রবীন্দ্রনাথ যেমনটি ‘শান্তিনিকেতন’ নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছিলেন, সেভাবে ‘বাংলানিকেতন’ নামেও যদি আমাদের ‘বাংলা একাডেমি’ পরিচালিত হতো, তাহলেও এ অনুকরণটি অশোভন হতো না, কেননা তা আমাদের ভাষারই সম্পদ।
যাই হোক, আমরা অনুকরণপ্রিয় জাতি। আমরা সব কিছুতেই অনুকরণ করতে পছন্দ করি। পোশাক-পরিচ্ছদ, অনুষ্ঠানাদি থেকে শুরু করে মুখের বুলিও আমরা অনুকরণ করতে চাই। ইংরেজি ভাষা অনুকরণ করার বিষয়টি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রায় ২০০ বছর ইংরেজ শাসনে থেকে ব্রিটিশদের অনুকরণ করার বিষয়টি আমাদের মধ্যে চলে আসছে। ইংরেজরাÑ তাদের বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে এ অনুকরণপ্রবণতা আনুষ্ঠানিকভাবেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করে। অনেকে ইংরেজদের ভাষা ও সংস্কৃতি ধারণ করে ইংরেজ শাসকদের কাছ থেকে চাকরি ও অনেক বৈষয়িক সুবিধা আদায় করে নেওয়া শুরু করে। ব্রিটিশ শাসকরা ভালোভাবেই বুঝেছিলেন যে, একটি ভিন্ন জাতির ওপর কেবল অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক আগ্রাসন সৃষ্টি করলেই সে জাতিকে পুরোপুরি বশ করা চলে না; বরং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন অত্যন্ত জরুরি বিষয়। মানুষের ভাষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের ওপর যদি প্রভাব ফেলা যায়, তাহলে একটি জাতির স্বকীয়তার মধ্যে ফাটল ধরিয়ে তাদের অন্য যে কোনো নতুন দীক্ষায় দীক্ষিত করা যায়। এ কারণে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকরা এক নতুন আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা কায়েমের নামে বাঙালিত্বকে বা ভারতীয় সত্তাকে কলুষিত করে ইংরেজ মননের অধিকারী করে তুলতে চেয়েছিল আমাদের পূর্ব পুরুষদের। ইংরেজ আমলে তৎকালীন ভারতবর্ষের শিক্ষানীতিতে বিজাতীয় শাসক শ্রেণির বেশ কিছু মতলব বিদ্যমান ছিল। তারা ভারতীয়দের শিক্ষিত করতে চাইতেন অনেকটা তাদের দাপ্তরিক কাজকর্ম করানোর জন্য। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়Ñ ‘কেরানি’ বানানোর শিক্ষাই হয়তো বলা চলে সেই শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য। মেকলের ‘ঋরষঃবৎধঃরড়হ ঞযবড়ৎু’ ছিল ওই শিক্ষানীতির মূল দর্শন। এই শিক্ষাদর্শন সম্পর্কে স্বয়ং মেকলে বলেছেনÑ ‘ইংরেজি শিক্ষার দ্বারা এমন একশ্রেণির লোক তৈরি করতে হবে, যারা রক্তে ও বর্ণে হবে ভারতীয়, কিন্তু রুচিতে, মতাদর্শে এবং চলন-বলনে হবে সম্পূর্ণ ইংরেজ।’ মেকলে তার এ অভিলাষ মোটামুটিভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। ওই রকম কিছু বিজাতীয় মানসিকতার লোক তিনি সেদিনের ভারতবর্ষে সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। তবে ভারতের অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে, দেশপ্রেমিক সচেতন মহল ইংরেজদের এই চাতুর্য বুঝতে পেরেছিলেন। মুসলমানদের একটি বিরাট অংশ ইংরেজি শিক্ষাকে বর্জন করেছিলেন এই ভেবে যে, তাতে ধর্ম-কর্ম উচ্ছন্নে যাবে। তাদের এ আশঙ্কা অমূলক ছিল না। কেননা ইংরেজরা শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে বা ইংরেজি শেখানোর মধ্যদিয়ে তাদের ধর্মীয় মিশনারি কাজকর্মও পরিচালনা করতেন। মুসলমানদের একটি বিরাট অংশ সেদিন কেবল উর্দু, ফার্সি, আরবি মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা লাভেই আগ্রহী হয়ে ওঠে। ইংরেজরা একপর্যায়ে ওই ধরনের শিক্ষায় মদদ দিতে থাকে। ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা থেকে ভারতবর্ষের মুসলমানরা অনেকটা পিছিয়ে পড়ে। এই পিছিয়ে পড়াকে অনেকে ইংরেজি না শেখার খেসারত হিসেবে ব্যাখ্যা করতে চান। কিন্তু তা সর্বোতভাবে সত্য নয় বলে মনে হয়। মূল বিষয় হলো, ভারতীয় মুসলমানরা নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষানীতি প্রবর্তন করতে বা প্রচলন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
যাই হোক মেকলির ষড়যন্ত্র অনেকটাই সফল হয়েছে বলতে হয় এবং এর ফল আজ অবধি বিদ্যমান আছে। ইংরেজ আমলের পর পাকিস্তানি শাসকরাও ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন কায়েম করতে চেয়েছিল কেবল শাসন ও শোষণকে সুদৃঢ় করা সংক্রান্ত ব্রিটিশ নীতি-পদ্ধতি অনুকরণ করে। কিন্তু ব্রিটিশ শাসকরা এটা যেমন সুকৌশলে করতে পেরেছিল তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকরা ততটা মেধার পরিচয় দিতে পারেনি। তারা বাঙালিদের ওপর জোর করে উর্দু ভাষা চালু করে দিতে চেয়েছিল। তৎকালীন বাঙালিরা তা হতে দেননি; বরং পাকিস্তানি শাসকদের পরাজয় শুরু হয় ভাষার আগ্রাসন নীতি প্রবর্তনের ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে এবং পরবর্তীতে ১৯৭১-এ এসে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু এ স্বাধীনতার লক্ষ্য শুধুই রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা নয়। বরং স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো একটি জাতি তার ভাষা-কৃষ্টি ও সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে এবং তাকে কাক্সিক্ষতভাবে উন্নত করতে পারবে। অন্য জাতি-গোষ্ঠীর মানুষও যাতে স্বাভাবিকভাবে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে উন্নত মনে করে এবং অনুকরণীয় বলে ভাবে, এটা করতে পারা একটি স্বাধীন দেশের জন্য খুবই জরুরি এবং সম্মানের কাজ। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে ভাষা ও সংস্কৃতির সুরক্ষা, উন্নয়ন ও লালন প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের স্বাধীন দেশে ক্রমেই ভাষার অপব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা, মিডিয়া কর্তৃক বাংলা, ইংরেজি মিশিয়ে অত্যন্ত অনাকাক্সিক্ষতভাবে ভাষার অপব্যবহার করছে। কেউ কেউ ইংরেজির ঢঙে বাংলা বলছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, নানা রকমের বাংলা ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অসুবিধাও এ ক্ষেত্রে অনেক দায়ী। বাংলাকে সহজ ও শুদ্ধ করে লেখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কিছু সীমাবদ্ধতা এখনও আছে। অন্যদিকে বিদেশি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণকারীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে ব্যাপকভাবে। আমাদের তরুণদের মধ্যে যারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অগ্রসর পরিবারের সন্তান তাদের অধিকাংশের ভাষা যেমন ভিনদেশিÑ চাল-চলনও তেমনি বিজাতীয়; আর এদেরই অনুকরণ করছে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া তরুণ সমাজ।
অনুকরণের এই ফাঁদ প্রসারিত হতে থাকলে একদিন ‘অমর একুশ’ পালন করে বাংলাকে অমর রাখার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে। তখন কি আমরা আবার বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য আন্দোলন করব? কারা করবে এই আন্দোলন?
ড. মো. শওকত হোসেন
সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]