অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন স্মার্টফোনের জন্য মাইক্রোসফট নিয়ে এসেছে ‘মাইক্রোসফট অফিস’ নামে একটি অ্যাপ। ১০০ মেগাবাইটের কম আকারের অ্যাপটিতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার-পয়েন্টকে একসঙ্গে ব্যবহার করার যাবে। ক্লিন ইন্টারফেসের অ্যাপটি ব্যবহার করা খুব সহজ। ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ছাড়াও এখানে নোট ও ল্যান্স ফিচার পাওয়া যাবে। নোট ফিচারটি গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু নোট রাখার জন্য খুবই সহায়ক।
ল্যান্স ফিচারটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়। কোনো লেখা বা ডেটা টেবিলের ছবি তুলে সেটিকে সহজেই টেক্সট বা টেবিল আকারে ওয়ার্ড বা এক্সেলে ব্যবহার করা যাবে। আছে কিউআর কোড স্ক্যান করার সুবিধাও।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ভয়েস ডিকটেশন ফিচারও যোগ করা হয়েছে, যা আপনার কথাকেই লেখায় রূপান্তর করতে সক্ষম। অর্থাৎ টাইপিংয়ের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। ফরম্যাট ঠিক করার জন্য ও উচ্চারণ জানার জন্যও এ ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের ব্যবহারকে আরও ব্যাপক করা হয়েছে। এক্সেলে কার্ডভিউ ও পাওয়ার পয়েন্টে আউটলাইন নামে নতুন দুটি ফিচার যোগ করা হয়েছে। এ দুটি ফিচার এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। এছাড়া পিডিএফ পড়া ও স্বাক্ষর করার ফিচারও থাকছে।
এক কথায় মাইক্রোসফট এক অ্যাপেই দরকারি সব সেবা নিয়ে এসেছে।
১৯ ফব্রুয়ারি অ্যাপটিকে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে ডিভাইসের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে এমন একটি অ্যাপ কেবল স্যামসাংয়ের ডিভাইসের জন্যই এভেইলেবল ছিল।
যেসব ডিভাইস আলাদাভাবে ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের ফুল ভার্সন অ্যাপ রান করতে সক্ষম নয় সেগুলোর ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই অ্যাপটি নির্মাণ করা হয়েছে। অ্যাপটি থার্ড পার্টি স্টোরেজ সার্ভিস, যেমন গুগল ড্রাইভ, আইক্লাউড, ড্রপবক্স ও বক্সকে স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম।