টস জিতেও ব্যাটিংয়ের জন্য চমৎকার উইকেটে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর দাঁড় করাতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং-লাইন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন মনে করেন, বড় ক্ষতিটা হয়ে গেছে প্রথম ইনিংসে, দুই দলের প্রথম ইনিংসই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। অধিনায়ক আরভিনের ক্যাপ্টেন্সনক সেঞ্চুরির পরও প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। মুশফিকুর রহিমের ডাবল ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন স্বাগতিকরা। সেই ব্যবধান দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘোচাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে, ফলে প্রথমবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের কাছে। দেশত্যাগের ঠিক আগে শন উইলিয়ামসের জায়গায় দলকে নেতৃত্ব পাওয়া আরভিন স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। ইনিংস ও ১০৬ রানের হারের জন্য ব্যাটসম্যানদের দায় দিলেন তিনি, ‘প্রথমে ব্যাটিং করে আমাদের অন্তত ৪০০ রান করা উচিত ছিল। এ ধরনের সংগ্রহ গড়ার জন্য উইকেট যথেষ্ট ভালো ছিল। ২৬৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে ওরা আমাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।’ সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ গড়ে টেস্টে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের স্কোর। রান পাহাড়ে চাপা পড়লেও বোলারদের দুষছেন না আরভিন। অনভিজ্ঞ বোলিং-লাইনআপ যেভাবে চেষ্টা করেছে তাতেই খুশি তিনি, ‘ছয়টি উইকেট নিতে আমাদের বোলারদের অনেক খাটুনি গেছে। অবশ্যই সঠিক জায়গায় যথেষ্ট সময় ধরে বল করতে পারিনি। তবে আমি মনে করি, ব্যাটিংই আমাদের ডুবিয়েছে।’ চতুর্থ দিন সকালে সিকান্দার রাজার সঙ্গে জমে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আরভিনের জুটি; দ্রুত এগোচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। মুমিনুলের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে আরভিনের বিদায়ে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। যেভাবে খেলছিলেন তাতে ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির আশা দেখছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান, ‘হতাশাজনক। আমরা মোমেন্টাম নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিলাম, সেটা আবার বাংলাদেশের দিকে ফিরিয়ে দিয়েছি।’