নিরাপত্তা নিয়ে পরিবার উদ্বিগ্ন থাকায় তিন দফার পাকিস্তান সফর থেকে আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দল দুই দফায় পাকিস্তান সফর করে আসার পর তৃতীয় দফায় মুশফিককেও চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মুশফিক মত বদলাবেন প্রত্যাশা করে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন মন্তব্য করেছেন, মাহমুদউল্লাহকে খেলে এলেও মুশফিককে নিয়েই কেবল পরিবারের চিন্তা, এটা তিনি বিশ্বাস করেন না।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারানোর পর মাঠেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পরের টেস্ট পাকিস্তানে, টেস্টের আগে সেখানে একটি ওয়ানডেও খেলবে বাংলাদেশ।
এ সফরের মতো বদলে মুশফিক যেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে মুশফিক মত বদলে যাচ্ছেন, এমন খবর এখনও নিশ্চিতভাবে পাননি বোর্ড প্রধান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হওয়া মুশফিককে পুরস্কার তুলে দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বরং মুশফিকের আগের দুবার পাকিস্তানে না যাওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।
ভায়রা ভাই মাহমুদউল্লাহর প্রসঙ্গ টেনে বিসিবি প্রধান মুশফিকের পরিবারের উদ্বেগ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন, ‘আমাদেরও ভয় ছিল (পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে)। যারা গেছে তাদের ভয় ছিল না? এখন যারা খেলে এসেছে, তার (মুশফিক) বাড়ির লোকও তো খেলে এসেছে। আমি বলতে চাচ্ছি, রিয়াদের বেলায় কিছু হবে না, ওর বেলায় খালি পরিবার কান্নাকাটি করবে নাকি, চিন্তিত নাকি? এরকম আমি বিশ্বাস করি না।’ নাজমুল আশা করেন, আত্মীয় মাহমুদউল্লাহ ও অন্যদের কথা শুনে মত বদল করবেন মুশফিক, ‘রিয়াদের কাছ থেকে শুনতে পারে, অন্যদের কাছ থেকে শুনতে পারে। মানে সে মন বদলাতে পারে।’
পাকিস্তান সফরে কাউকে জোরাজুরি করা হবে না, কেউ চাইলে এ সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারে, এমন সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল বোর্ডের। সে অনুযায়ীই যাননি মুশফিক। বোর্ডের সেই অবস্থান আগের মতো থাকলেও নিজের কথাতেই সাংঘর্ষিক বার্তা দিয়ে রেখেছেন নাজমুল, একবার তিনি বলছেন, ‘আশা করছি সে যাবে। প্রত্যেক চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়ের যাওয়া উচিত। দেশের কথাও চিন্তা করতে হবে, সব সময় নিজের কথা চিন্তা করলে হবে না। প্রত্যেকের পরিবার গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু দেশটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা মাথায় থাকতে হবে। তারা খেলোয়াড়, দেশের হলে খেলা খেলতে হবে। এটা বলার কিছু নেই।’
আবার এও বলেছেন, ‘পাকিস্তান ভিন্ন ইস্যু। পাকিস্তানের ব্যাপারে বলেছি কাউকে আমরা জোর করব না। আমি মনে করি, সবার সঙ্গে কথাবার্তা বললে যাওয়া উচিত।’ ৩ এপ্রিল করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ৫ এপ্রিল একই ভেন্যুতে খেলবে টেস্ট ম্যাচ।