আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৬-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা

স্পোর্টস রিপোর্টার
| খেলা

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে জায়গা হয়নি। সুযোগ এলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। কী দারুণভাবেই না এটা কাজে লাগালেন নাঈম হাসান। তরুণ এ অফ স্পিনার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দলের জয়ে রাখলেন বড় অবদান। নাঈম ও তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে মিরপুর টেস্টে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য হয়নি। সেবার ৪ উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকই পেলেন নাঈম হাসান। জিম্বাবুয়ের টিমিসেন মারুমাকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট শিকার করলেন তিনি। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের তরুণ এ অফস্পিনার। এদিন ২৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬ মেডেনে ৮২ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরলেন তিনি। তবে সম্ভাবনাময়ী ও প্রতিশ্রুতিশীল তারকার সেরা বোলিং ফিগার আগেরটিই। অভিষেকেই, ২০১৮ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪ ওভারে ২ মেডেন সহকারে ৬১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট লাভ করেন তিনি। 
মিরপুর টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ নাঈম ম্যাচে ১৫২ রানে নেন ৯ উইকেট। নিজের প্রথম চার টেস্টে নাঈম পেয়েছিলেন ১০ উইকেট। এবার এক ম্যাচেই নিলেন ৯টি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবার প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য পাঁচ উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকই সেই আক্ষেপ ঘুচেছে। তৃতীয় দিন জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারে প্রিন্স মাসভাউরে ও ডোনাল্ড টিরিপানোকে ফিরিয়ে শিকার ধরা শুরু করেন নাঈম। চতুর্থ দিন নেন আরও ৩ উইকেট। এদিন তার শিকার ব্রেন্ডন টেলর, আইন্সলে এনডিলোভু ও টিমোসেন মারুমা। এ টেস্টের আগে বিসিএলেও দারুণ বোলিং করেন নাঈম। দুই ম্যাচে নেন ২১ উইকেট। সেই ছন্দ ধরে রাখলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও। উইকেট সংখ্যার পাশাপাশি নাঈম নজর কাড়েন টানা বোলিং করে। প্রথম দিন বোলিং করেন টানা ৩২ ওভার। চতুর্থ দিন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে করেন টানা ২১ ওভারের স্পেল।