বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তার (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার রাত ২টার দিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হেনা নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাসিন্দা নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগের স্ত্রী এবং বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় হেনার স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এ দম্পতির এক বছর বয়সি একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডে স্বামীর বাসার একটি কক্ষের দরজা আটকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হেনা। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু বস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে হেনা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এর প্রতিবেদন পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, হেনার স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।