চতুর্থ স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড (প্রশিকার মোড়) এলাকার তিনতলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন পেশায় জমি ব্যবসায়ী আবদুর রহমান। ১০ ফেব্রুয়ারি আবদুর রহমান ব্যবসায়িক অংশীদারকে দিয়ে সামিরাকে জোরপূর্বক যৌন কাজে লিপ্ত করান। এর ক্ষোভে ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ধারালো দা দিয়ে স্বামীকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যার পর দেহ এসিডে ঝলসে তোষকে মুড়িয়ে রাখেন স্ত্রী সামিরা। হত্যার পর তিন দিন সামিরা লাশ নিয়ে একই বাসায় অবস্থান করেন। সোমবার রাতে পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব। সামিরা শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে। তার সঙ্গে বাবা আলী হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আলী হোসেন গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর এলাকার ছামিদুলে বাড়ির ভাড়াটিয়া ও বরিশালের উজিরপুর গ্রামের মৃৃত ফজলুল হকের ছেলে। র্যাব আরও জানায়, আবদুর রহমান ও সামিরার বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তারা দুইজন পূর্বপরিচিত। আবদুর রহমান সামিরাকে কৌশলে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। পরে এ ভিডিও এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় সামিরার প্রথম স্বামী তাকে ডিভোর্স দেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আবদুর রহমান সামিরাকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন। শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, ঘটনার পর আবদুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সামিরাকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।