মডেল :মেহের
শিশুকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে তার প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে তার খাওয়া-দাওয়া বা পোশাক-পরিচ্ছদে নজর রাখাটা জরুরি। তবেই শিশু বেড়ে উঠবে সুস্থ-সবলভাবে। তেমনই কয়েকটি টিপস। লিখেছেন মুনিয়া আক্তার
হালকা গরম পানিতে শিশুকে গোসল করালেও মাথা ধোয়ানোর সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। শিশুর মাথায় খুশকি হলে তা ভালো হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুর চুলে তেল দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শিশুদের পছন্দের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। যে হেয়ার স্টাইলে শিশুরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তেমনটা করে দেওয়াই ভালো। হেয়ার স্টাইলের এছাড়া শিশুর মুখের গঠন ও আকৃতির ওপর ভিত্তি করে হেয়ার স্টাইল দেওয়া যেতে পারে।
শিশুর চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে প্রতিদিন চুল ভালোভাবে শিশুদের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হবে। কারণ, বড়দের শ্যাম্পুতে ব্যবহৃত উপাদান বাচ্চাদের জন্য সহনশীল নয়। বাচ্চাদের চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করারও প্রয়োজন নেই।
শিশুদের তেলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। সব ধরনের তেল শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। বাচ্চাদের মাথার ত্বকে এক্সট্রা ভার্জিন গ্রেড নারকেল তেল অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে পারেন। তবে বাচ্চার মাথায় সরিষার তেল ব্যবহার করা উচিত নয়।
প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে শিশুর ত্বকের যত্নের বিষয়ে। শিশুর চুলে চুলকানি বা অন্য কোনও রোগ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
খাওয়ার সময় হাতের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জীবাণু পেটের মধ্যে খুব সহজেই চলে যেতে পারে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া শিশুকে সাবান বা বডিওয়াশ দিয়ে গোসল করাতে হবে। নিয়মিত গোসলে শিশুর ত্বক, হাত ও পা থাকবে পরিষ্কার।
শিশুর বাড়ন্ত নখ কেটে দিন। খেয়াল রাখতে হবে, নখের ভেতর যেন ময়লা আটকে না থাকে।
শিশু কথা বলতে শুরু করলে ওরাল ক্রিম দিয়ে শিশুর মাঢ়ি ম্যাসাজ করা উচিত। ডাক্তারের প্রেশক্রিপশন অনুযায়ী ম্যাসাজ ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। বাচ্চার দাঁত উঠলে সব কিছুতেই কামড়ানোর চেষ্টা করে। তাই এ সময় নরম ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করাতে হবে।
ছোট থেকেই শিশুকে নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে ওঠা ও রাতে শুতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা সেখানো উচিত।
চকলেট বা কার্বহাইড্রেট খাবার খেয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।