ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামে সালমা বাহিনী। কিন্তু এবার আরও বিবর্ণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের সামনে ছিল ‘অচেনা’ অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এর আগে কখনোই খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। এমন প্রতিপক্ষের সামনে অভিজ্ঞতার শূন্য ঝুলি নিয়ে কূলকিনারা করাটা ছিল রীতিমতো রাডার ছাড়া সমুদ্রের অচেনা পথে পাড়ি দেওয়ার মতো। বাংলাদেশও পারেনি। প্রায় সব বিভাগেই অজিদের থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। আজ আবার মেলবোর্নে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি ভোর ৬টায়।
ম্যাচ শেষে হতাশাজনক এ পরাজয়ের একটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ফারজানা হক। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করা এ ডানহাতির মতে অপরিচিত প্রতিপক্ষ হওয়ায় তেমন সুবিধা করতে পারেননি তারা। এ ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কখনও খেলা হয়নি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ফলে ভিডিও ফুটেজ দেখেই অজিদের বোলিং এবং ব্যাটিং যাচাই করার চেষ্টা করেছেন জাহানারা-সালমারা। কিন্তু এতে যে খুব একটা কাজ হয়নি সেটি ম্যাচের ফলেই জাজ্বল্যমান। এক্ষেত্রে বড় দলগুলোর বিপক্ষে আরও ম্যাচ খেলার আকুতি ঝরেছে ফারজানা হকের কণ্ঠে।
২৬ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার বলেন, ‘ভালো দল হতে হলে ওদের সঙ্গে খেলতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা বড় দলের সঙ্গে নিয়মিত খেলতে পারি না। যদি বড় দলের সঙ্গে নিয়মিত খেলতে পারি, তবে আমাদের ক্রিকেট আরও উন্নত হবে। আমরাও ভালো করব।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলার পর অবশ্য তাদের কৌশল এবং শক্তিমত্তা সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছে বাংলাদেশ। এটিকে পাথেয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ফারজানার। তার ভাষ্যমতে, ‘অস্ট্রেলিয়া বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমাদের জন্য এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং সামলানো তাই অবশ্যই কঠিন ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচ খেলার পর কীভাবে এ বোলিং সামলানো যায়, সে অভিজ্ঞতা হলো। এ কন্ডিশন, এ বোলিং সবই তো আমাদের জন্য নতুন। আমরা এখন বুঝতে শিখছি এমন বোলিং আক্রমণ কীভাবে সামলানো যায়, কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের ব্যাটারদের আক্রমণ করা যায়।’