ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও থমথমে দিল্লির মৌজপুর, বাবরপুর, জাফরাবাদের মতো বেশ কয়েকটি এলাকা। এক বিবৃতিতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বড় জমায়েতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গেল ৩৬ ঘণ্টায় রাজধানীর কোথাও বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার নিরাপত্তার লক্ষ্যে গুরুগ্রামে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৮টি এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির সহিংসতা তদন্তে দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। ৫০০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সিএএস সমর্থক-বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাস্তায় বন্দুক, লোহার রড, লাঠি হাতে নেমে আসে লোকজন। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর ও দোকানে। দিল্লির তাণ্ডবের ঘটনায় কারা কারা জড়িত, কারা অর্থ জোগাচ্ছে, তা খুঁজে বের করার জন্য দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দিয়েছেন। ৩০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন কেন্দ্র, দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুলিশকে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর, পরবেশ বর্মার মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠলেও তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর না করা এবং সহিংসতার ঘটনা মোকাবিলায় ধীরগতিতে এগোনোর অভিযোগে সমালোচিত হয়েছে দিল্লি পুলিশ। আনন্দবাজার, এনডিটিভি