বই পড়ে পুরস্কার পেয়েছে খুলনার ৪৩ স্কুলের ৩ হাজার ৩৪১ শিক্ষার্থী। শুক্রবার খুলনা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়া কর্মসূচির আওতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হাবিবুল হক খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার, খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেরুন নেছা, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা রহমান, পিটিআইর সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার বিশ্বাস ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি প্রমুখ।
এ কর্মসূচির আওতায় খুলনা মহানগরের ৪৩ স্কুলের ৩ হাজার ৩৪১ শিক্ষার্থীকে স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরা পাঠকÑ এ চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম পর্বে ১৮ স্কুলের ১ হাজার ৬৩৯ শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ২৫ স্কুলের ১ হাজার ৭০২ শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ৮০৪ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ৯৭৮ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৪৬২ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৯৭ জন। সেরা পাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৯৭ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ১০ জনকে প্রদান করা হয় ২ হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি বিশেষ পুরস্কার। এছাড়াও লটারির মাধ্যমে চার অভিভাবককেও একই ধরনের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ বই পড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, আলোকিত মানুষ তৈরিতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। বই পড়ে নিজেকে জানতে হবে, বিশ্বকে জানতে হবে।
তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ এখন অভিভাবক ও শিক্ষকরা বই পড়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের সময় এ বই পাওয়াটা এত সহজ ছিল না। এক্ষেত্রে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিভিন্ন স্কুলে বই পৌঁছে দিচ্ছেÑ এটি ভালো উদ্যোগ। বই পড়ে নিজেকে ও দেশকে এগিয়ে নেবে। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। অতিথিরা নতুন প্রজন্মকে বেশি করে বই পড়ায় উৎসাহ দিতে অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।