শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় শহর কাত্তানকুডিতে রোববার ১০ একরের একটি ‘শিবির’ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ, ইস্টার সানডের হামলার সঙ্গে জড়িতরা এখানে গুলি ছোড়া ও বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নিত বলে বিশ্বাস তাদের। কাত্তানকুডির নিম্নবিত্তদের আবাসিক এলাকায় দেওয়ালঘেরা এ শিবিরটির অবস্থান। শিবিরের এক পাশের দেওয়ালে বুলেটের গর্তও দেখতে পেয়েছে পুলিশ। ইস্টার সানডের ভয়াবহ হামলার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নতুন করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সতর্ক রয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বোমা হামলা তদন্তে এখনও নানা দিক থেকে তথ্যানুসন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে কাত্তানকুডিতেই, ইস্টার সানডের হামলার সন্দেহভাজন মূল হোতা জাহরান হাশিমের বাড়ি। ওই দিনের ৯ আত্মঘাতী হামলাকারীর মধ্যে হাশিমও ছিলেন বলে বিশ্বাস শ্রীলঙ্কার তদন্তকারীদের। এদিকে কাত্তানকুডির লম্বা, বালুময় ওই শিবিরটিতে পাকা চারতলা একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে। পাশাপাশি আমগাছ, নারিকেল গাছ, মুরগির খাঁচা ও ছাগল পালার ছাউনি রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাত্তিকালোয়ার এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিরা এ জায়গাটিকে স্বাভাবিক দেখাতে চেয়েছে। কেউ দেখতে এলে এটিকে খামার বলে মনে করবে। কিন্তু তারা এখানে সন্ত্রাসবাদের চর্চা করত। শিবিরটি থেকে অনেকগুলো লম্বা টিউবও পাওয়া গেছে। এগুলো বোমা রাখার জন্য ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই প্লটটির দুই ভূমি মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে পরবে কলম্বোসহ তিন শহরের তিনটি গির্জা ও চারটি পাঁচতারা হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ২৫০ এর বেশি মানুষ নিহত হন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আর শ্রীলঙ্কা সরকারের ধারণা, স্থানীয় দুটি জঙ্গি দল কোনো বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সহযোগিতায় ওই হামলা চালিয়েছে। আরব নিউজ
