আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

আবার ভারতে সাবিনা

স্পোর্টস রিপোর্টার
| খেলা

মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে তাকে দলভুক্ত করতে চেয়েছিল চীনা তাইপের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব হ্যাং ইউয়ান ফুটবল ক্লাব। সবকিছু ঠিকঠাকও হয়েছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতায় শেষ পর্যন্ত তাইপে যাওয়া হয়নি সাতক্ষীরার এ তরুণীর। বিশ্ব নারী ফুটবলে র‌্যাঙ্কিংয়ের ৪০তম তাইপের ক্লাবটির প্রস্তাব ছিল বেশ ভালো, চুক্তি হতো ৭ মাসের, মোটা পারিশ্রমিকও পেতেন। চীনা তাইপের ক্লাবটিতে খেলার প্রক্রিয়াধীন থাকার সময় প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক উইমেন্স লিগে গত বছর খেলে আসা তামিলনাড়–র সেথু এফসি। কিন্তু তাইপে ক্লাবে খেলতে যাবেন বলে সেথু এফসিকে ‘না’ করতে হয়েছিল তাকে; তাইপে যেতে না পারলেও ফিরছেন ভারত উইমেন্স লিগে, খেলবেন আরেক ক্লাব গকুলাম কেরালার হয়ে। গতকাল সন্ধ্যায় চলেও গেছেন মালদ্বীপ-ভারত কাপানো সাবিনা।
দেশে নারী লিগ হয় না অর্ধ যুগ! তবে জাতীয় দলের খেলা না থাকলেও সাবিনাকে অলস বসে থাকতে হয় না বললেই চলে। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের বাইরে লিগে নিয়মিত হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের গোলমেশিন। মালদ্বীপ মাতিয়েছেন ২০১৫ ও ২০১৬ সালে; গত বছর খেলেছেন ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে তামিলনাড়–র সিথু এফসির জার্সিতে। সেখানে প্রায় একক কৃতিত্বে দলকে তুলেছিলেন সেমিফাইনালে। তামিলনাড়–র দলের মোট ১১ গোলের ৭টিই সাবিনার; ফলস্বরূপ এ বছরও তাকে নিচ্ছে ভারতীয় ক্লাবটি। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অনেক প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে সাবিনার নাম। বিদেশি লিগে খেলা দেশের প্রথম নারী ফুটবলার; ২০১০ সাল থেকে টানা জাতীয় দলে খেলা সাবিনা ৫ বছর ধরে অধিনায়কও। এসএ গেমস, সাফ, এএফসি, ফুটসাল, প্রীতি টুর্নামেন্ট ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে ১১৪টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩২৪টি। পাঁচটি নারী সাফ খেলা একমাত্র বাংলাদেশি ফুটবলারও তিনিই।