উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ০-৩ গোলে হেরে এসেছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। ঘরের মাঠে আজ রাতে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা) ফিরতি লেগের ম্যাচে বার্সার মুখোমুখি হবে তারা। ফাইনালের টিকিট পেতে হলে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে অলরেডদের; ৩-০ গোলে জিতলেও সম্ভাবনা থাকবে, সমীকরণে, ৪-১ এ হবে না।
অথচ এমন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নিজেদের দলের সেরা দুই খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী ক্লাবটি। শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চোটে পড়েছেন মোহামেদ সালাহ, আগে থেকেই চোটগ্রস্ত রয়েছেন রবার্তো ফিরমিনো। অথচ সাদিও মানের সঙ্গে সালাহ-ফিরমিনোর ত্রিমুখী ফরোয়ার্ডই লিভারপুলের বড় শক্তির জায়গা।
কিন্তু আজ তাদের ছাড়াই খেলতে নামবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ম্যাচপূর্ব গণমাধ্যমপর্বে লিভারপুল কোচ নিজেই জানান, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই স্ট্রাইকারকে আমরা পাচ্ছি না ম্যাচে। অথচ আমাদের করতে হবে ৪টি গোল।’
সালাহ-ফিরমিনোকে ছাড়া বার্সার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ সহজ হবে না ক্লপ বলেন, ‘সালাহ-ফিরমিনো অবশ্যই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তাদের না থাকাটা আমাদের কাজ অনেক কঠিন করে তুলবে। তবে আমরা অবশ্যই ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট চেষ্টা করব, যেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়োৎসব জারি থাকে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা। যদি এটা করতে পারি তাহলে তো দুর্দান্ত। আর যদি না পারি তবুও বাদ পড়াটা যেন সুন্দর হয়।’ চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত ১৬ গোল করেছেন ফিরমিনো, অন্যদিকে সালাহর পা থেকে এসেছে ২৬ গোল। ফিরমিনো থাকছেন না, সেটা একরকম জানাই ছিল। সংশয় ছিল মোহামেদ সালাহকে নিয়েও। লিভারপুল সমর্থকদের শঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
ইনজুরির সমস্যা আছে বার্সেলোনাতেও। শনিবার দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে সেল্টা ভিগোর মাঠে নেমেছিল তারা। একাদশে ছিলেন উসমান দেম্বেলে, কিন্তু খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫ মিনিট। ষষ্ঠ মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। অথচ হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে কদিন আগেই মাঠে ফিরেছেন এ তরুণ।
অধিনায়ক মেসির জাদুতে লিভারপুলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ৩-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছে বার্সা। তবে ফিরতি লেগ অ্যানফিল্ডে বলেই যত দুশ্চিন্তা তাদের। কারণ ঘরের মাঠে দারুণ শক্তিশালী ইংলিশ দলটি। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ খেলছেও তারা। তার ওপর গেল মৌসুমে প্রথম লেগে এমনই বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর এএস রোমার মাঠে গিয়ে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছিল তারা। ভাবনায় আছে সে দুঃস্বপ্নের স্মৃতিও।