চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ১০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। গেল বছর এ সংখ্যা ছিল ১০৯। গেল বছরের তুলনায় এ বছর দুটি কমেছে। অন্যদিকে, শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৩টি। গেল বছর এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫৭৪টি।
গেল বছরের তুলনায় এ বছর সংখ্যা বেড়েছে এক হাজার ৯টি। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। এবার বরিশাল বোর্ডের দুইটি এবং দিনাজপুর, রাজশাহী ও যশোর বোর্ডের একটি করে প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বোর্ডে এবার এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। অন্যদিকে, মাদ্রাসা বোর্ডের ৫৯টি ও কারিগরি বোর্ডের ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এসএসসি ও সমমানে ২০১৭ সালে ৯৩টি এবং ২০১৬ সালের ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করে। ২০১৫ সালে ৪৭টি এবং ২০১৪ সালে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছিল।
২০১৭ সালে ২ হাজার ২৬৬টি, ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৭৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। ২০১৫ সালে ৫ হাজার ৯৫টি এবং ২০১৪ সালে ৬ হাজার ২১০টি প্রতিষ্ঠানের সবাই উত্তীর্ণ হয়েছিল মাধ্যমিকে। এবার ঢাকা বোর্ডে ১৪৬টি, রাজশাহী বোর্ডে ৪৩১, কুমিল্লা বোর্ডের ১৩২, দিনাজপুর বোর্ডের ১৩৮, সিলেট বোর্ডের ২২, যশোর বোর্ডের ২৭৫, বরিশাল বোর্ডের ৫০ এবং চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের ১ হাজার ২৬৩টি এবং কারিগরি বোর্ডের ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে। প্রসঙ্গত, গেল বছর ২৮ হাজার ৫৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। আর এবার মোট ২৮ হাজার ৬৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।
