আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

গবেষণা প্রতিবেদন

পুনঃমাদক নির্ভরশীলদের ৫২ শতাংশ কারাবন্দি হন

| শেষ পাতা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সোমবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম ও অন্য অতিথিরা

মাদকাসক্ত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর ফের মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের ৫২.১ শতাংশ কারাবন্দি হন। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ একবার, ৪১.৯ শতাংশ দুই-পাঁচবার এবং ১৫.১ শতাংশ পাঁচবারের বেশি আইনগত কারণে গ্রেপ্তার হন। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৬২.৭ শতাংশ পুনঃনির্ভরশীল মাদক গ্রহণকারীরা ১৮ বছর বা আরও ছোট বয়স থেকে মাদক ব্যবহার শুরু করে, ৭০ শতাংশ রোগীর অর্থের উৎস তাদের অভিভাবক এবং নিজস্ব কৌতূহল থেকে মাদক গ্রহণ করেন ৭০.৬ শতাংশ। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে আরও জানান, ৯০.৬ শতাংশ ব্যক্তি মাদক ধূমপানের মাধ্যমে গ্রহণ করেন, ৮২ শতাংশ মাদক গলাধকরণ করেন, ২৬.২ শতাংশ শ্বাসের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ৯৮.৯ শতাংশ এ পরিসংখ্যানের জন্য তথ্য সংগ্রহের আগে মাদকনির্ভরশীলতার জন্য আবাসিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন, যেখানে ৬৫.৮ শতাংশ নির্বিষকরণ ও পুনর্বাসনের জন্য ৩১ থেকে ৯০ দিনব্যাপী কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, ৪২.৪ শতাংশ কাউন্সেলিং সেবা গ্রহণ করেন ও ৪২ শতাংশ চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রের ফলোআপ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ডা. হায়াতুন নবী এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ। উল্লেখ্য, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মাদক পুনরাসক্তির ওপর একটি ক্রস সেকশনাল বর্ণনামূলক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৭৭টি মাদক চিকিৎসা কেন্দ্রের মধ্যে দেশের মোট ১৩৮টি কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণরত ৯১১ জন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি, যারা আগে অন্ততপক্ষে একবার মাদক ব্যবহারজনিত কারণে চিকিৎসা নেওয়ার পর আবার পুনরাসক্ত হয়ে পড়েছেন। যাদের কোনো মারাত্মক মানসিক বা শারীরিক রোগ নেই তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ইন-ডেপথ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্যাদি সংগ্রহ করে এ গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি