আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

রোজায় প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫২৫ টাকা নির্ধারণ

নজরদারি জোরদার হবে : ডিএনসিসি মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

রমজান মাসের জন্য রাজধানীতে প্রতি কেজি দেশি গরুর মাংসের দাম সর্বোচ্চ ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার নগর ভবনে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্ধারিত এ দামের কথা জানান সাঈদ খোকন। এদিকে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে রমজানে ডিএনসিসির সব বাজারে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। সোমবার গুলশানের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে রমজান মাস উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সাঈদ খোকন জানান, দেশি গরুর মাংসের দাম সর্বোচ্চ ৫২৫ টাকা, বোল্ডার গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, মহিষের মাংস ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর প্রতি কেজি ভেড়ার মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ টাকা। সভায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আজকের এ সিদ্ধান্ত আপনারা মেনে চলবেন। কেউ যদি এর চেয়ে বেশি দাম রাখেন তাহলে সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। নির্ধারিত এ দামে সুপারশপেও মাংস বিক্রি করা হবে। 

সভায় ঢাকা মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সুপারশপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবছর রোজার আগে সিটি করপোরেশন দাম বেঁধে দিলেও বিক্রেতাদের তা মানতে দেখা যায় না। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলমের দাবি, গাবতলী হাটের ইজারাদার কয়েকগুণ বেশি খাজনা আদায় করায় মাংসের দাম বেড়ে যায়। সভায় তিনি বলেন, ১০০ টাকার খাজনা এক হাজার টাকাও রাখা হচ্ছে। এ কারণে মাংসের দাম বেড়ে যায়। ফলে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করা কঠিন হয়ে যায়। এ বিষয়ে নজর দিলে মাংসের দাম কম রাখা সম্ভব হবে। ডিএসসিসি গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও কিছুদিন আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তা ৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গেল বছর রমজানে দেশি গরুর মাংসের দাম ছিল ৪৫০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরে প্রতি কেজিতে দাম বাড়ল ৭৫ টাকা।