দেশের আকাশে ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। আজ থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস রমজান শুরু হচ্ছে। আর ১ জুন দিবাগত রাতে পবিত্র শবেকদর পালিত হবে। সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোমবার দেশের আকাশে ১৪৪০ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার (আজ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসাবে
১ জুন দিবাগত রাতে (২৬ রমজান) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ, ওয়াক্ফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. খলিলুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. আলমগীর রহমানসহ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি রুহুল আমিন, বেফাকের সহ-সভাপতি মুফতি মো. ফয়জুল্লাহ, লালবাগ মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মাওলানা ইয়াহইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রোজা পালন উপলক্ষে সোমবার এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ আদায় এবং শেষ রাতে সাহরি খেয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মাসব্যাপী একই নিয়মে রোজার কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন সংশ্লিষ্টরা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সোমবার ঢাকায় সাহরির শেষ সময় ছিল রাত ৩টা ৫২ মিনিট। আর আজ প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ৩৪ মিনিটে। এছাড়া আজ সাহরির শেষ সময় ৩টা ৫২ মিনিট।
এদিকে রমজান উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র রমজানের মোবারকবাদ জানান তারা।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)Ñ এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, এ মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহপাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।