আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৭-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

‘ফোন ধরেননি মমতা’

আলোকিত ডেস্ক
| প্রথম পাতা

 ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দুইবার ফোনও করেছিলাম। কিন্তু তিনি ধরেননি। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এসে এমনই দাবি করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠিকে ফোন করা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝে তিনি এসব কথা বলেন। ঘূর্ণিঝড় ফণীতে রাজ্যের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানতে রাজ্যপাল কেশরিনাথকে ফোন করেছেন মোদি। এ ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলা শাসক শিবির। তারা মনে করছে, এভাবে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শ্রদ্ধা করেন না মোদি। রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে তার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। তা না করে রাজ্যপালকে কেন ফোন করলেনÑ সে প্রশ্নই তুলেছে তৃণমূল।
এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মোদি বলেন, ‘স্পিডব্রেকার দিদি’ ফণী নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছেন। আমি ফণী নিয়ে কথা বলতে মমতা দিদিকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু উনার এত ঔদ্ধত্য, আমার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করলেন না। আমি অপেক্ষা করছিলাম। ভেবেছিলাম, উনি নিজেই হয়তো পাল্টা ফোন করবেন। কিন্তু তিনি ফোন করেননি। মোদি আরও বলেন, আমি ফের দ্বিতীয়বার ফোন করি মমতা দিদিকে। বাংলার মানুষের জন্য আমি চিন্তায় ছিলাম। সেজন্য মমতা দিদির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কেননা উনি এখানকার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দিদি দ্বিতীয়বারেও আমার সঙ্গে কথা বলেননি। এরপর উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মোদি বলেন, ভেবে দেখুন, রাজনীতি নিয়ে কতটা চিন্তিত উনি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য তার কোনো মাথাব্যথা নেই। দেশের মানুষের মঙ্গল নিয়ে রাজনীতি করলে চিরকালই দেশের ক্ষতি হয়েছে। দিদির এমন আচরণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিকাশে ব্রেক লেগে রয়েছে। এনডিটিভি, আনন্দবাজার