ভালো ফলাফলে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আনন্দ ভাগাভাগি করতে বিজয় চিহ্ন প্রদর্শন করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা। সোমবারের ছবি ষ আলোকিত বাংলাদেশ
-পাসের হার ৮২.২০ শতাংশ
-স্কুলে স্কুলে আনন্দের বন্যা
চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ১০টি বোর্ড মিলিয়ে মোট পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গেল বছর ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। যা গেল বছরের চেয়ে ৫ হাজার ৩৫ জন কম।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন। এরপর লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে পাস করা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের ধৈর্য্য ধরে মনোযোগ সহকারে ফের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। পরে শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর ও আট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতি বছর ফল ঘোষণার দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় বিভিন্ন বোর্ডের চেয়াম্যানরা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফল তুলে দেন।
এদিকে, ফল প্রকাশের পর রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। আবার আশাতীত ফল অর্জন করতে না পেরে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হয়ে ১০ মার্চ শেষ হয়। গেল কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছিল। এবার ৯ মে পরীক্ষা শেষের ৬০তম দিন পূর্ণ হবে। সে হিসেবে এবার ৩ দিন আগেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. দীপু মনি জানান, এবার ১০টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫। আর পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গেল বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৫ জন। গেল বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরও ফলের সূচকে বেশ কিছু ইতিবাচক লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। এর পেছনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু উদ্যোগ ভূমিকা রেখেছে। যেমন- বিনামূল্যে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া, টেলিভিশনে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান প্রচার, নকলবিরোধী ব্যাপক প্রচারণা, শিক্ষার উপকরণ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার। তিনি বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবমূল্যায়ন বা অতি মূল্যায়ন রোধে বোর্ডগুলো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রধান পরীক্ষকদের উত্তরমালা প্রণয়নের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রণীত নমুনা উত্তরমালার আলোকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরীক্ষকদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য একটি প্রশ্নমালা সব প্রধান পরীক্ষককে সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা বছর পরীক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান শাখায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি উত্তীর্ণের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোয় এ বছরের পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে সব শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি পাস করেছে।
পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জন্য এ ফলের তথ্যগুলো খুবই ইতিবাচক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের অক্লান্ত চেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। শিক্ষা পরিবারের সবাইকে জানাচ্ছি অভিনন্দন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৪ জন ছাত্রী। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ। গেল বছর আট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ ও কারিগরি বোর্ডে ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এবার বিদেশ কেন্দ্রে পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে এবার ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। পাস করেছে ১৪ লাখ ৩ হাজার ১৫৭ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৭১০ জন। কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯১ হাজার ২৯৮ জন।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪ হাজার ৫৫৬ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ৬ হাজার ২৮৭ ও কারিগরি বোর্ডে ৪ হাজার ৭৫১ জন বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। গেল বছর এসএসসিতে ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন, দাখিলে ৩ হাজার ৩৭১ ও কারিগরিতে ৪ হাজার ৪১৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
এবারও এসএসসিতে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে ২৯ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গেল বছরের মতো এবারও সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়নি।
১০ বোর্ডের পাসের হার এবং জিপিএ-৫ এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ৬৮৭ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৭৯৫ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৭৬৪ জন।
যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৪৮ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩ জন। বরিশালে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৮৯ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭৫৭ জন। দিনাজপুরে পাসের হার ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ২৩ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২৮৭ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জন।
বিদেশের ৮ কেন্দ্রে ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ পাস : এবারের এসএসসিতে বিদেশের আটটি কেন্দ্রে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬ জন।
গেল বছর বিদেশের কেন্দ্রে ৯৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯০ জন। সে হিসেবে এবার বিদেশ কেন্দ্রে পাসের হারের পাশাপাশি পূর্ণ জিপিএ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এবার এসএসসিতে বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৪২৩ জন অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৩৮৯ জন পাস করেছে। এ আট কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
স্কুলে স্কুলে উচ্ছ্বাসের বন্যা : মাথার ওপর বৈশাখের তপ্ত সূর্য। সঙ্গে আছে তীব্র যানজট। এসব বাধা ঠেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী আর অভিভাবকরা স্কুলে এসেছেন ফল জানতে। পোশাক ভিজে গেছে ঘামে। কিন্তু উল্লাসের কমতি নেই। শিক্ষার্থীরা তাদের ভালো ফলের আনন্দ অভিভাবক, বন্ধু আর শিক্ষকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতেই এত আয়োজন। সোমবার সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। রাজধানীর বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্কুলে সরেজমিন দেখা গেছে স্কুল প্রাঙ্গণগুলোয় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
রাজধানীর নিউ বেইলী রোডস্থ ভিকারুননেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক পরীক্ষার্থীই এসেছে তাদের অভিভাবকের সঙ্গে ফল জানতে। প্রতিষ্ঠানটিতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ১ হাজার ৮২৬ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৮২৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৮২ জন। জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ৮১ দশমিক ২৯। যা গেলবারের তুলনায় কম। তিনজন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে একজন বিজ্ঞানে আর দুজন ব্যবসায় শিক্ষায়। ফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের কাছে স্কুলের ফল তুলে ধরেন ভিকারুননেসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ফেরদৌসী বেগম। ফল প্রকাশের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে ছাত্রীরা। মুন্নি আক্তার নামে কলেজটির এক ছাত্রী বলে, জিপিএ-৫ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। নোটিশ বোর্ডে জিপিএ-৫ এর তালিকায় নিজের নাম দেখার পরপরই মনে হচ্ছে দুই বছরের কষ্ট মুহূর্তের মধ্যে আনন্দে পরিণত হয়েছে।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৮৯৪ জন। পাসের হার ৯৯.৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ২৪৮ জন। ফল ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে শিক্ষর্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ করতে দেখা গেছে। বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে সিদরাতুল আলম মুনতাহা। সে বলে, আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। আমার বাবা-মা ও শিক্ষকরাও আমাদের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। তাদের চেষ্টায় আমি কাক্সিক্ষত ফল পেয়েছি।
রাজধানীর মাইলস্টোন কলেজ থেকে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে ১ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এতে পাস করেছে ১ হাজার ৩২৭ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০১ জন। ফল প্রকাশের পর কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম. কামালউদ্দিন ভূঁইয়া (অব.) শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সবার সহযোগিতাও চান তিনি। ফল প্রকাশের পর জিপিএ-৫ পাওয়া কলেজের ছাত্র জাকির হোসেন বলে, আমার এ সাফল্যের জন্য শিক্ষক ও আমার বাবা-মার প্রতি কৃতজ্ঞ। কেননা আমার পরিশ্রমের পাশাপাশি তাদেরও দীর্ঘ পরিশ্রম আছে। জাকির বড় হয়ে একজন ডাক্তার হতে চায় বলেও জানায়।