এসভিআরএসের জরিপ মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে ডাক্তারপ্রতি রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৫৭৯ জন। সে হিসেবে আমাদের চিকিৎসাসেবার মান খুবই নিম্নমানের। এ অবস্থা দূরীকরণে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) থেকে ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত ফলাফলে মাত্র ৪ হাজার ৭৯২ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিপিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ফলাফল প্রকাশের আগে জানিয়েছিলেন, দেশে ডাক্তার ঘাটতি থাকায় পদসংখ্যা আরও অন্তত ২ হাজার ২০০ বাড়িয়ে মোট ৭ হাজার ডাক্তার নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় ওই ৪ হাজার ৭৯২ জনকেই নিয়োগের সাময়িক সুপারিশ করে বিপিএসসি। সম্প্রতি নিয়োগ বঞ্চিতদের একটি অংশ বিপিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান, এখনও যদি তাকে আরও ডাক্তার নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়, তবে তিনি তা করবেন। এ অবস্থায় আরও অন্তত ২ হাজার ২০০ ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হলে ডাক্তার ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। এছাড়া এ ২ হাজার ২০০ বেকার ডাক্তারের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছি।
দেশের যে কোনো সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই আন্তরিক। উপর্যুক্ত বিষয়ে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে থেকে আরও ডাক্তার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কাম্য।
ষ জুনায়েদ আহমেদ
রাজশাহী