আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৪-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সমীপে

জিএন সিদ্দিকী রুমী
| চিঠিপত্র

চট্টগ্রাম টেলিভিশনে বর্ধিত ৩ ঘণ্টার মধ্যে অধিবেশনের শুরুতে আধা ঘণ্টা, অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে আধা ঘণ্টা মোট এক ঘণ্টা খেয়েছে ঢাকা কেন্দ্রের সংবাদে। সংবাদে আপত্তি নেই। তবে এ কথা ঠিক, ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান আমরা সেই চ্যানেলে গেলেই দেখতে পাই, তাহলে কেন নাটকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান সেখান থেকে নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে সম্প্রচার করা হয়? চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আর্কাইভে এমন অনেক আকর্ষণীয় বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান রয়েছে যা ঢাকাকেও হার মানায়। বর্তমানে এ কেন্দ্রের দুর্দান্ত অনুষ্ঠান নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান নির্মাণ করলে অনুষ্ঠান স্বল্পতা থাকার কথা নয়। কোনো কারণে তা ঘটলে, আর্কাইভ থেকে নিজেদের নির্মিত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হোক। ঢাকা থেকে এনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা মানে চট্টগ্রামের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা। চট্টগ্রাম অঞ্চলকে তুলে ধরার সুযোগ ও অধিবেশনের সময় নষ্ট করা। একটি ব্যাপারে আশ্চর্য হতেই হয়, এখানে আউটডোর লোকেশনে নাটক নির্মাণ এখনও শুরু করতে না পারা। চট্টগ্রামে নাট্যগোষ্ঠী প্রচুর, এদের সুযোগ দিন। আর একটা ব্যাপার দুঃখ ও হতাশাজনক, এখনও টেলিফোনে দর্শকদের সরাসরি অংশগ্রহণে শিল্পীদের নিয়ে গান, ডাক্তারকে নিয়ে রোগ জিজ্ঞাসা শুরু করতে না পারা। ঢাকা থেকে এতগুলো সংবাদ প্রচারের পরও কোন যুক্তিতে সে সংবাদগুলো আবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদে দেখানো হচ্ছে। তা বাদ দিলে মহানগরীর সাংস্কৃতিক সংবাদ, মেয়র ও আগত মন্ত্রীদের মিটিং আরও ফলাও করে প্রচার করা যায়। বাংলাদেশ বেতার খুলনা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্র সহনীয় সংবাদ অনুসরণ করুক।