রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রমজান ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ও মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী সদস্যরা হকার সেজে বিভিন্ন গাড়িতে উঠে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ও নেশাজাতীয় ট্যাবলেট মিশিয়ে যাত্রীদের খাওয়ায়। এরপর যাত্রীবেশে বসে থেকে সুযোগ বুঝে টাকা-পয়সাসহ সব লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ১৮টা ৪৫ মিনিটে র্যাব-২ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন পঙ্গু হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে যাত্রী ছাউনিসংলগ্ন পূর্ব পাশের ফুটপাত থেকে অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্য মো. পারভেজ (২৫), মো. লিটন (৩০), মো. সুজন (৩০), মো. রনি (২০) ও মো. শ্রাবনকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ, মলম, মরিচের গুঁড়া, দৃষ্টিভ্রম করার টাইগার বাম ও আসামিদের ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা জানায়, বাসের যাত্রী সেজে অথবা বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে মানুষকে আকৃষ্ট করে অজ্ঞান করার ওষুধ মিশ্রিত খাবার খাওয়ায় এবং রাস্তায় খাবারের পসরা বসিয়ে বিশেষ করে আখের রস, ডাব, হালুয়া ইত্যাদি ও সিএনজিতে যাত্রী বেশে অন্য যাত্রীদের উঠানো কিংবা পান ও জুস খাইয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়।
এছাড়াও শনিবার ১৫টা ৩৫ মিনিটে র্যাব-২ এর অপর একটি দল জানতে পারে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন মিরপুর রোডের পশ্চিম পাশে ব্লক-বি, খিলজী রোডের প্রবেশমুখে গ্রিন লাইফ বাংলাদেশের দক্ষিণ গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর তিন থেকে চার দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এ সংবাদ পেয়ে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা পালানোর সময় মো. মামুন (২৫), মো. মিলন (৩৫), মো. রুবেল (২৪) ও মোবারক হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-২ পুরো রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের ছুটি থেকে যাত্রীরা আসা পর্যন্ত অজ্ঞান ও মলম পার্টি এবং ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি