আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৪-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ফাইনালে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৪৭/৯; বাংলাদেশ : ২৪৮/৫ ফল : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী

স্পোর্টস রিপোর্টার
| প্রথম পাতা

সৌম্যের অর্ধশতকে জয়ের শক্ত ভিত তৈরি হয় বাংলাদেশের। সোমবার ডাবলিনে - সংগৃহীত

ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিক বোলারদের পিটিয়ে রেকর্ড রান তুলেছে, পেয়েছে বড় জয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামলেই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলছেন। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দু’বারই সহজ জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছে টাইগাররা। সৌম্য সরকার (৫৪) ও মুশফিকুর রহিমের (৬৩) হাফ সেঞ্চুরিতে গতকালের জয় ৫ উইকেটে। তাতে ক্যারিবীয়দের টপকে শীর্ষে উঠে গেলেন মাশরাফিরা। আগামীকাল স্বাগতিকদের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচটি ফাইনালের প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার সুযোগ; বিশ্বকাপের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করারও। ১৭ মে শিরোপার দ্বৈরথে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজই। তার আগে গতকালও প্রায় প্রথম ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি। আগে ব্যাট করে খুব বড় চ্যালেঞ্জ দিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রান তাড়ায় তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। শুধু কয়েকজনের নৈপুণ্যে ছিল তফাত। আগের ম্যাচে বিবর্ণ মোস্তাফিজুর রহমান আগুন ঝরিয়েছেন বলে; নিয়েছেন চার উইকেট। সৌম্য আগের দিনের মতোই দেখালেন দাপট, মুন্সিয়ানার দেখা মিলেছে মুশফিকুরের ব্যাট থেকেও। ডাবলিনের ম্যালাহাইডে আগে ব্যাট করে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ ও মাশরাফির তোপের মুখে মাত্র ২৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় উইন্ডিজ। ওই রান তাড়ায় ১৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় ৭৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান ডিপেন্ডেবলম্যান মুশফিকের, সৌম্য করেন ৬৭ বলে ৫৪ রান। ২৪৮ রান সহজ লক্ষ্য হলেও ম্যালাহাইডের কিছুটা মন্থর উইকেটে সতর্ক হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। সেই তাল বুঝেই শুরু করেন দুই ওপেনার সৌম্য ও তামিম। বরাবরের মতোই সৌম্যকে দেখা গেছে শুরু থেকেই আগ্রাসী, অন্যদিকে তামিম ছিলেন স্থিতধীর। কিন্তু রান বাড়ানোর তাড়ায় তামিমই ফেরেন আগে, ২১ রান। তিনে নেমে আগের ম্যাচের মতোই চনমনে খেলছিলেন সাকিব। অ্যাশলে নার্সকে হুট করে মারতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে থামেন ২৯ রানে। দারুণ খেলতে থাকা সৌম্যও খানিক পর পথ ধরেন সাকিবের। ১০৮ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় বেড়েছিল চাপ। সেই চাপ যেন তুড়ি মেরে কমিয়ে দেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিক। ৮৩ রানের জুটিতে ৫৩ বলে ৪৩ করে মিঠুনের বিদায়ে ভাঙে জুটি। তবে মুশফিক ছিলেন অবিচল, তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৩তম ফিফটি। 
এর আগে বাংলাদেশকে অর্ধেক খেলা এনে দেন মোস্তাফিজ আর মাশরাফি। আগের ম্যাচে ছন্দহীন হয়ে গালমন্দ শোনা ফিজ জেগে উঠে দেখান ঝলক। তার কাটারও এদিন বেশ ভালোই ভুগিয়েছেন শেই হোপদের। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মোস্তাফিজ দেখান বিশ্বকাপের আগে নিজের ছন্দ। অধিনায়ক মাশরাফি নেন ৬০ রানে ৩ উইকেট। হোপের ৮৭ রানের ইনিংসের পরও বেশি দূর এগোতে পারেনি জেসন হোল্ডারের দল; বড় বাধা তো হয়েছিলেন দুই ‘এম’-মোস্তাফিজ-মাশরাফি।