একদিকে বোরো ধানের ব্লাস্ট রোগ, অন্যদিকে ধানের সঠিক দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ভূঞাপুরের বোরো চাষিদের। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ধান চাষে আগ্রহ হারাবেন সাধারণ কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ বোরো চায়না ধান বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায়, ব্রি ধান ৫৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, ব্রি ধান ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। যেখানে একজন কৃষকের ১ কেজি ধান চাষ করতে খরচ হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ টাকা অর্থাৎ ১ মণ ধান চাষ করতে ব্যয় চচ্ছে ৬৪০ থেকে ৭২০ টাকা। সেখানে তাদের এক মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, যা প্রতি মণ ধানে কৃষকের লোকসান হচ্ছে প্রায় ২০০ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি লোকসানে পড়ছেন বর্গা চাষিরা। উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক জমির মালিককে দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। উপজেলার ভালকুটিয়া গ্রামের বোরো চাষি চাঁন মিয়া জানান, আমি এ বছর ১১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ মণ ধান হয়ে থাকে। সেই হিসাবে ৫০০ টাকা মণ হলে ২০ মণ ধানের দাম হয় ১০ হাজার টাকা। দাম কম থাকায় প্রতি বিঘায় ৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। ভারই গ্রামের চাষি আবুল কাশেম বলেন, এ বছর ১৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। এর মধ্যে ৩ বিঘা জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করেছে। তাছাড়া শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছি। প্রতিদিন একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে বোরো চাষ করে এ বছর মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, দিন-রাতের তারতম্য ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে।