আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

রূপগঞ্জে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ অফিসে আগুন, আহত ২০

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
| দেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভুলতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভুলতা এলাকায় রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূঁইয়ার মাসুমের সঙ্গে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বসচা হয়। এক পর্যায়ে মাসুমের সঙ্গে হানজালা লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পরেই হামজালার লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুলতা থেকে নাহাটি এলাকায় একটি অস্ত্রের মহড়া দেয়। এরপর শেখ ফরিদ ভূঁইয়া মাসুম ও রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদারের লোকজনও একত্রিত হয়ে স্বশস্ত্র অবস্থায় পাল্টা মহড়া দেয়। এ সময় ফয়সাল শিকদারের লোকজন হামজালার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অফিসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া একটি মুদির দোকানসহ বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূঁইয়া মাসুম বলেন, দলীয় বহির্ভূত কাজ করায় পাঁচ মাস আগে আমি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার ভুলতা ইউনিয়নের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করি। এরপর থেকেই সে আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে আসছে। মঙ্গলবার রাতে সে ফের আমার ও কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সে আমার অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূঁইয়া মাসুম ও হামজালার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।