আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

রাঙ্গামাটিতে বন্দুকযুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যার আসামি নিহত

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
| দেশ

রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ (প্রসীত) মূল দলের নেতা অর্পণ চাকমা নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোর ৫টায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত অর্পণ চাকমা নানিয়ারচরের উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। 
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, রাঙ্গামাটি জোনের আওতাধীন শুভলং ক্যাম্পের একটি নিয়মিত টহল দল মাইসভাঙ্গা এলাকায় অবতরণ করলে পাহাড়ের উপর থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আকস্মিকভাবে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অতি দ্রুত অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে থাকে।
বিষয়টি টহল কমান্ডার শুভলং ক্যাম্পকে অবহিত করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পিডবোটে শুভলং ক্যাম্প থেকে আরও একটি টহল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় একজন সন্ত্রাসীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। লাশের সঙ্গে একটি ব্যাগে রক্ষিত মোবাইল ফোন, চাঁদার রশিদ ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। 
নিহত অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা এবং তার সহযোগীরা তিন থেকে চার মাস ধরে বন্দুকভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় জনগণের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করত বলেও তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায়, অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা ইউপিডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র শাখার একজন কুখ্যাত সদস্য। সে ২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামি। কোতোয়ালি থানার এসআই আল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্পন চাকমার লাশ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।