কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৩৪) নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের মাঠের মধ্যে তোফাজ্জেল হোসেনের পান বরজের পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। শহিদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৪টি মামলা রয়েছে। তবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত শহিদের স্ত্রী তানিয়া খাতুন দাবি করেছেন, তার স্বামী শহিদ, শ^শুর মানিক আলী ও দেবর লালনকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে জামালপুর গ্রামের একটি দোকান থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে একই এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে রোকন ছিল। সে শহিদকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছে। পরে রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ দেখিয়ে তার স্বামী শহিদকে হত্যা করা হয়। স্বামীকে হত্যা করা হলেও শ^শুর ও দেবরকে এখনও ছাড়া হয়নি। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আরিফুর রহমান জানান, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানিক দল বাগোয়ান গ্রামের মাঠের মধ্যে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহিদকে উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।