আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৭-০২-২০২০ তারিখে পত্রিকা

পাকিস্তান যাচ্ছেন মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার
| খেলা

পারিবারিক কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাননি মুশফিকুর রহিম; বিসিবিও পাকিস্তান সফরের বিষয়ে ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছিল। ফলে ছুটি নিয়েছিলেন। দুইবারই পাকিস্তান সফর করে ক্রিকেটাররা নিরাপদে দেশে ফিরলেও টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে বাজেভাবে হেরে লজ্জা বয়ে এনেছে জাতির জন্য। মুশফিক নিজের সিদ্ধান্ত নিলেও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বিসিবি। মিরপুর টেস্টের পুরস্কার বিতরণীর পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের আত্মীয়তার সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে গণমাধ্যমকে সভাপতি বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ পাকিস্তানে যেতে পারলে মুশফিক কেন যাচ্ছেন না, শুধু মুশফিকের জন্য তার পরিবার কান্নাকাটি করবে, বিশ্বাস করি না। আশা করছি, সেও এবার যাবে। যাকেই নির্বাচন করা হবে, সে যাবে। চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারের উচিত যাওয়া। ক্রিকেটারদের শুধু নিজের কথা চিন্তা করলে হবে না, দেশের কথাও ভাবতে হবে। নিজের কথা খুব গুরুত্বপূর্ণ, পরিবার গুরুত্বপূর্ণ, দেশ তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কথাটি সবাইকে মনে রাখতে হবে।’ 
সিরিজের শেষ ভাগে খেলা হবে এপ্রিলে করাচিতে, ৩ এপ্রিল হবে একমাত্র ওয়ানডে, ৫ এপ্রিল শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। সেই সিরিজে যাচ্ছেন যাচ্ছেন মুশফিক, নিশ্চিত করেছেন অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর গণমাধ্যম পর্বে ‘পাকিস্তান সফরেও মিরপুরের ব্যাটিং ছন্দ ধরে রাখতে চান কি না’ প্রশ্ন উঠলে বিষয়টা এড়িয়ে গেলেও ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে নিশ্চিত করেছেন এবার করাচি যাচ্ছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে নেওয়ার আগে মুশফিককে শর্ত দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান সফরে যেতে হবে! মিরপুর টেস্টের দল ঘোষণার ঠিক আগের দিন কক্সবাজার গিয়ে বিসিবির নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার মুশফিককে পাকিস্তানে যেতে রাজি করান। কক্সবাজারে তখন বিসিএলের ম্যাচ খেলছিলেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান।
শেষবার পাকিস্তান সফরের আগের গণমাধ্যম পর্বে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছিলেন, জিম্বাবুযের বিপক্ষে মুশফিককে নেওয়া হলে তিনবার একাদশে পরিবর্তন করতে হয়। তাই মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষে ছিলেন তিনি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও মানার পক্ষে ছিলেন। এ নিয়ে অভিমানী ছিলেন মুশফিক! তবে দুই সিনিয়র অনুরোধ রেখে পাকিস্তানে যেতে রাজি হওয়ায় অনেক দিক থেকে স্বস্তি ফিরেছে জাতীয় দলে। করাচি টেস্টে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুমিনুল হকও সহযোগিতা পাবেন সিনিয়রদের কাছ থেকে। 
এ বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘আল্লাহ ভরসা, চেষ্টা করব ছন্দটা ধরে রেখে পাকিস্তানে খেলতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর দলের ভেতরে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। আশা করি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব ওখানে।’