দেশের শেয়ারবাজারে আবার ধস দেখা দিয়েছে। ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের সংবাদে কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন ঘটল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার লেনদেনের শুরুতেই সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসইর শরিয়া সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৬টির। আর ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬২৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবাজারের এমন টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। হঠাৎ শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের কারণে এখন টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। শিগগিরই বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।